লক্ষ্য: পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ছেন এক ছাত্রী। সোমবার শ্রীনগরের লাল চকে। ছবি: পিটিআই
কাশ্মীর পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য অবিলম্বে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ওই প্রস্তাব দিয়েছেন মেহবুবা। পরে তিনি বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কাশ্মীরে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল কেন্দ্র। সে পথে না হাঁটলে শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়।’’
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও আরএসএস শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও এই প্রস্তাবে রাজি নন। তবে প্রধানমন্ত্রী দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মেহবুবাকে আজ জানিয়েছেন, আমলাদের মাধ্যমে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে কোনও ‘ট্র্যাক টু’ আলোচনা শুরু করা যায় কি না তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। মেহবুবা প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মেহবুবার সঙ্গে কথা বলার পরে রাজনাথ আবার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহর্ষি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাপ্রধান এবং কাশ্মীর সংক্রান্ত দুই যুগ্মসচিবের সঙ্গে। আমলাদের কাছ থেকে সর্বশেষ তথ্য নিয়ে রাজনাথ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকের পরে কেন্দ্র কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। প্রথমত, রাজ্যপাল এনএন ভোরার অনেক বয়স হয়েছে। কিন্তু অবিতর্কিত বিকল্প রাজ্যপাল না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকেই রাজ্যপাল হিসেবে রাখতে চায় মোদী সরকার। দ্বিতীয়ত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে শ্রীনগরে পিডিপি-বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে চায় না মোদীর দল। কারণ, রাজ্যপালের শাসন জারি হলে ঘুরপথে কাশ্মীর পরিস্থিতির দায় পুরোপুরি মোদীর ঘাড়েই চাপবে। পিডিপি সূত্রে খবর, মেহবুবা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ‘বাড়াবাড়ি’র কারণে উপত্যকার মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই তাঁরা ভোট দিতেও আগ্রহী হচ্ছেন না। হুরিয়ত নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখাটাও মানুষ ভাল চোখে দেখছেন না বলে জানিয়েছেন মেহবুবা।
প্রধানমন্ত্রী সব শুনেছেন। মেহবুবা সব বলেছেন। কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মনোভাব বদলাবেন কি না তা নিয়ে সন্দিহান পিডিপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: সুকমায় ফের মাওবাদী হানা, হত ২৫ জওয়ান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy