মেহুল চোক্সী। ছবি- সংগৃহীত।
পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে তাঁর পক্ষে দেশে ফিরে আসা ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে বলে সিবিআইকে জানালেন মেহুল চোক্সী।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-এর সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল সিবিআইকে বুধবার একটি চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘আমার পক্ষে ভারতে ফিরে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একটা বিষয় আমি আপনাদের গোচরে আনতে চাই যে, কেন আমার পাসপোর্ট সাসপেন্ড করা হল, মুম্বইয়ের রিজিওন্যাল পাসপোর্ট অফিস আমাকে তার কোনও কারণ জানায়নি। আমি কী ভাবে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠলাম, তা-ও জানানো হয়নি।’’
৫৭ বছর বয়সী মেহুল ‘গীতাঞ্জলী জেমস’-এর কর্ণধার। তাঁর ওই সংস্থা ভারত সহ বিভিন্ন দেশে ‘গিলি’, ‘অস্মি’ ও ‘নক্ষত্র’ নামে হিরে সহ বিভিন্ন রত্নের স্টোর চালায়।
সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে মেহুল লিখেছেন, ‘‘সিবিআই আমার যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, কিন্তু আমার কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (‘সিজার মেমো’), আইন মোতাবেক আদালতকে তা এখনও জানায়নি।’’
আরও পড়ুন- এ বার কেরল, হামলা হল গাঁধীর মূর্তিতে
আরও পড়ুন- চন্দ্রবাবুর সঙ্গে কথা বললেন মোদী, ইস্তফা দুই টিডিপি মন্ত্রীর
সিবিআই পিএনবি-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করার আগেই এ বছরের জানুয়ারির গোড়ায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান চোক্সী আর তাঁর ভাগ্নে হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী।
সিবিআইকে মেহুল জানিয়েছেন, ব্যবসার জন্যই তিনি বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। তবে হৃদরোগের সমস্যার জন্য অন্তত ৪ থেকে ৬ মাস তিনি আর ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না।
এর আগে নীরব মোদীও সিবিআইকে লেখা একটি চিঠিতে জানান, ‘‘ব্যবসা দেখভালের জন্য আমাকে বিদেশে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। তাই তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য আমার পক্ষে এখন ভারতে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না।’’
পিএনবি-কাণ্ডে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে পিএনবি-র আগে কর্মী ছিলেন ও এখনও কর্মী, এমন ৮ জন রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy