সংসদের কাজকর্মে হতাশ।
নোট বাতিল নিয়ে সংসদে চলতে থাকা অচলাবস্থা নিয়ে দিন কয়েক আগে মুখ খুলেছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। কড়া ভাষায় নিন্দা করেছিলেন সাংসদদের। আর এ বার সরব হলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। সংসদে কাজকর্ম না হওয়ায় পদত্যাগ পর্যন্ত করতে চাইলেন হতাশ আডবাণী।
৮৯ বছরের আডবাণী এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলে সংসদ সচল রাখার অনুরোধ জানান তিনি। বাজপেয়ী জমানার প্রসঙ্গ টেনে তত্কালীন উপপ্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেন, “বাজপেয়ীজি সংসদে থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরিই হত না। সংসদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমি এতটাই হতাশ যে, মনে হচ্ছে পদত্যাগ করি।”
আডবাণীর এই মন্তব্যের পরই তাঁকে সমর্থনে এগিয়ে আসেন রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি জানান, “বিজেপির মতো দলের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের হয়ে সওয়াল করার জন্য আডবাণীজিকে কুর্নিশ জানাই।”
আরও পড়ুন: আডবাণীর রাশ টানতে প্রস্তাব রাষ্ট্রপতি পদের
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল ১৬ নভেম্বর। চলতি অধিবেশনে জিএসটি-সহ মোট ১০টি বিল পাস করানোর চেষ্টায় ছিল সরকার। অধিবেশনের বাকি রয়েছে আর মাত্র এক দিন। আর এই ক’দিনে পাস হয়েছে মাত্র চারটি বিল। বৃহস্পতিবারও সংসদ শুরু হতেই তুমুল হৈ হট্টগোলে বারে বারে বন্ধ করতে হয় সংসদের কাজকর্ম। দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উভয় কক্ষই। শাসক এবং বিরোধী, এত দিন দু’পক্ষেরই অভিযোগ ছিল, কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের। বিরোধীদের বিরুদ্ধে তাঁকে কথা না বলতে দেওয়ার অভিযোগ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আর এখন সংসদের মুল সমস্যা, কে আগে বলবেন তা নিয়ে। বিরোধীদের দাবি, প্রথমে বলতে দেওয়া হোক রাহুল গাঁধীকে। যিনি কিনা একেবারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। শাসকের দাবি, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকেই বলতে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy