Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সংস্কার করলেও নালিশ! অভিমানী মোদী

আজ দেশের অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে রীতিমতো আক্ষেপ করেছেন মোদী।

প্রেমাংশু চৌধুরী
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share: Save:

‘অভিমান’ হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর!

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিএসটি চালু করুন বলে এত দিন তাঁর কাছে দরবার করছিল শিল্পমহল। এখন জিএসটি চালুর পরে সমস্যা দেখা দিতে তারাই সরকারের উপর খাপ্পা।

আজ দেশের অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে রীতিমতো আক্ষেপ করেছেন মোদী। অভিমানের সুরে বলেছেন, যত দিন না আর্থিক সংস্কার হচ্ছে, তত দিন লোকে সংস্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে। কিন্তু সংস্কার করলে প্রশ্ন ওঠে, এত সমস্যা কেন? তাঁর ক্ষোভ, এত দিন জিএসটি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে বিবাদ চলছিল। সে সব মিটিয়ে জিএসটি চালু হয়েছে। গোড়ায় সমস্যা হচ্ছে বটে। কিন্তু ক্রমে তা মিটেও যাবে। তা হলে এত অভিযোগ কীসের?

লোকসভা ভোটের আগের বছরে এসে অর্থনীতি নিয়ে নাজেহাল মোদী সরকার। নোটবন্দি ও জিএসটি-র জেরে বৃদ্ধির হার যে কমেছে, তা স্পষ্ট। প্রতিশ্রুতিমতো কাজের সুযোগ তৈরি হয়নি। ক্ষোভ জমেছে শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে। এই অবস্থায় অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ শোনায় মন দিলেন মোদী। আজ দেশের ৪২ জন অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞর সঙ্গে আসন্ন বাজেট এবং অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। টানা তিন ঘণ্টা বসে শুনেছেন তাঁর সরকারের কোথায় কোথায় ভুল হচ্ছে তা-ও।

আরও পড়ুন: মহাযজ্ঞ, বগলাপুজো হবে লালকেল্লায়, লক্ষ্য মোদীকে জেতানো

যেমন, ব্যাঙ্কের আমানত সুরক্ষা (এফআরডিআই) বিল। ব্যাঙ্কে জমা টাকা সুরক্ষিত থাকবে কি না, তা নিয়ে আমজনতার উৎকণ্ঠা চরমে। আলোচনাসভায় পূর্ব ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি অর্থনীতিবিদ সুগত মার্জিত দাবি তোলেন, ব্যাঙ্কের আমানত সুরক্ষিত থাকবে, তা বিলেই স্পষ্ট ভাষায় বলা হোক। তাঁর যুক্তি মেনে নেন ডি কে জোশী, নীলকণ্ঠ মিশ্র, এম গোবিন্দ রাও, সমীরণ চক্রবর্তীর মতো এই বিষয়ের অন্য বিশেষজ্ঞরাও।

অর্থনীতিবিদরা একজোট হয়ে সুপারিশ করেছেন, রাজকোষ ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে অনড় থাকুক সরকার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেটে কর্পোরেট করের হার কমিয়ে ২৫% করা হোক। শেয়ারের সঙ্গে ঋণপত্রেও লগ্নি টানার চেষ্টা চলুক। সরকারি ঋণপত্রে লগ্নি যে নিরাপদ, তা মানুষকে বোঝাতে হবে। না হলে ব্যাঙ্ক-ডাকঘরে সুদ কমায় গরিব মানুষ ফের পঞ্জি স্কিম, চিট ফান্ডে আকৃষ্ট হবেন।

তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় কী রয়েছে, সেটাও স্পষ্ট বুঝিয়েছেন মোদী। এক, কর্মসংস্থান। দুই, চাষিদের আয় বাড়ানো। শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার রাস্তা খুঁজতে বলেছেন মোদী। অর্থনীতিবিদরা সুপারিশ করেছেন, কৃষকদের জন্য সারে ভর্তুকিতে অর্থ অপচয় না করে সেচ, প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে লগ্নি করুক কেন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE