মনমোহন সিংহ থেকে রাহুল গাঁধী— বেকারি নিয়ে নিরন্তর কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদীকে। তার জবাব দিতে গিয়ে মোদী আজ ঢাল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দাবিকে।
আজ সকালে কর্নাটকে বিজেপির যুব-কর্মীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় মোদী বলেন, ‘‘বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে বটে, কিন্তু আমাদের কাছে রাজ্য সরকারের তথ্য আছে। পশ্চিমবঙ্গে ৬০ লক্ষের বেশি কাজ তৈরি হয়েছে। রাজ্যে ভাল রোজগারের ব্যবস্থা হচ্ছে, কিন্তু দেশে হচ্ছে না! এটা কী করে হয়? রাজ্য সরকার কাজের সুযোগ বাড়াতে পারছে, আর কেন্দ্র বাড়াতে পারছে না?’’
আসলে বেকারি বৃদ্ধির দায় গোটাটাই কংগ্রেসের ঘাড়ে ঠেলে দেওয়া লক্ষ্য ছিল মোদীর। নোটবন্দি, জিএসটির ফলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, রোজগার নষ্ট হয়েছে— মনমোহন-রাহুলদের এমন আক্রমণ নস্যাৎ করে মোদী পাল্টা বলতে চেয়েছেন, এর ফলে কাজের ‘ফর্মালাইজেশন’ হয়েছে। কর্মীদের যথাযথ সুবিধা মিলছে। ইপিএফও বলছে, সংগঠিত ক্ষেত্রের বিস্তার বাড়ছে। কিন্তু কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিরোধীদের অবাক করে প্রধানমন্ত্রী বেচে নিলেন মমতারই সাফলের খতিয়ানকে।
মমতা দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজ্যে ছ’বছরে ৮১ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদী আজ সেটিকেই হাতিয়ার করেন। যদিও মোদীর কথার পরেই কর্নাটকে সাংবাদিক বৈঠক করে করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন, নোটবন্দি আর তড়িঘড়ি করা জিএসটি— এই দু’টিই বড় বিপর্যয়। যা এড়ানো যেত। এর ফলে ছোট-মাঝারি শিল্প মার খেয়েছে। হাজার হাজার কাজ গিয়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা বলেন, মোদীর কাজের পুরো অঙ্কটিই ভাঁওতা। ইপিএফও-র হিসেব দেখিয়ে নতুন রোজগার বলা হচ্ছে, সেটাও ভুল।
তবে নিজের অবস্থানে অনড় প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ গতিতে কাজ হচ্ছে। বিদেশি লগ্নি বাড়ছে। এতে রোজগার বাড়ছে না, তা কী করে হয়? সরকার এখন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও বাড়তি জোর দিচ্ছে। মুদ্রা প্রকল্পে ১২ কোটির বেশি মানুষ ঋণ পেয়েছেন। একজন-দু’জন করে তাঁরা নতুন লোককেও কাজ দিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy