Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National news

হাফিজ সইদকে নিকেশ করে আসুন, মোদীকে বলছেন উরি শহিদের স্ত্রী

বেছে বেছে জঙ্গি নিকেশ নয়, পাকিস্তানে ঢুকে সোজা লস্কর-ই তৈবার চিফের বুক গুলিতে ছিন্ন করে দিক ভারতীয় সেনা, ঠিক যে ভাবে মার্কিন সেনা ৯/১১ মাস্টারমাইন্ড ওসামা বিন লাদেনকে নিকেশ করেছিল। মোদীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিলেন শহিদ-পত্নী সঙ্গীতা দেবী।

শহিদদের উদ্দেশে মোমবাতি জ্বালানো হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

শহিদদের উদ্দেশে মোমবাতি জ্বালানো হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৯:৫৬
Share: Save:

বেছে বেছে জঙ্গি নিকেশ নয়, পাকিস্তানে ঢুকে সোজা লস্কর-ই তৈবার চিফের বুক গুলিতে ছিন্ন করে দিক ভারতীয় সেনা, ঠিক যে ভাবে মার্কিন সেনা ৯/১১ মাস্টারমাইন্ড ওসামা বিন লাদেনকে নিকেশ করেছিল। শোকের আর্তনাদ নয়, বরং উরির বদলার পর মোদীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিলেন শহিদ-পত্নী সঙ্গীতা দেবী। পটনা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম পিরোতে বসে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন, দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে এর থেকেও বড় বলিদান দিতে প্রস্তুত তাঁর পরিবার।

বুধবারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে স্বস্তি পেয়েছেন অনেকটাই। তবে শুধু এইটুকুতেই তিনি সন্তুষ্ট হতে চাইছেন না। লস্কর চিফ-কে খতম হতে দেখতে চান তিনি।

শুধু স্বামীই নন, সঙ্গীতা দেবীর ছেলে এবং ভাইপোও ভারতীয় সেনায় কর্মরত। সম্প্রতি এই হাসিখুশি পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উরি সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ খুইয়েছেন তাঁর স্বামী হাবিলদার অশোক সিংহ। স্বামীকে হারানোর শোক তো আছেই, কিন্তু সঙ্গীতা দেবী জানেন, সবার উপরে তিনি একজন সেনার স্ত্রী। আর পাঁচজনের থেকে দেশের প্রতি তাঁর দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই এই ঘটনার পর ছেলে ও ভাইপোকে নিয়ে ভয়ে কুঁকড়ে থাকতে চান না। বরং মোদীর প্রতি তাঁর আবেদন, ‘‘খেয়াল রাখবেন আর কোনও স্ত্রী যেন তাঁদের স্বামীকে না হারান। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের খতম করার জন্য সাতপাঁচ ভাবার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে মার্কিন সেনার কৌশল নিন।’’

তাঁর সুরে সুরে মিলিয়েছেন উরির আর এক শহিদ সিপাই সুনীল বিদ্যার্থীর স্ত্রী কিরণ দেবী। বিহারের কাইমুরের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘স্বামীকে তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। এই হামলাই সেই যন্ত্রণা নিরাময়ের কাজ করল। মোদীর উচিত এই হামলা চালু রাখা যতক্ষণ না পর্যন্ত ১০০০ জঙ্গি নিকেশ হয়।’’ কিরণ দেবীর ১৪ বছরের ছেলে এখন স্কুলে পড়ছে। এই ঘটনা ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর চিন্তারও অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তিনি চান, ছেলেও স্বামীর মতো সেনা পোশাক পরুক। স্বামীর মতোই দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকুক।

দু’জনের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্বটা খুব একটা বেশি না হলেও সঙ্গীতা দেবী এবং কিরণ দেবীর কখনও দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। একজন বিহারের পিরো আর একজন কাইমুরে বসে কিন্তু একই সংকল্প করলেন এ দিন। স্বজনহারার যন্ত্রণার অনেক ঊর্ধ্বে উঠে দু’জনেই জানিয়ে দিলেন, দেশের স্বার্থে সমস্ত ত্যাগই মঞ্জুর তাঁদের।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান ভুয়ো ছবি দেখাচ্ছে, জানাল ভারতীয় সেনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE