Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National

ভিসা: ভারতীয় মেধার কথাও ভাবুন, মার্কিন প্রতিনিধিদের মোদী

শুধু ‘আমেরিকার কথাটাই আগে ভাবব’, এমন চিন্তাভাবনা করাটা আর যাই হোক, কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মানায় কি? যথাসম্ভব কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে, ভারত সফররত মার্কিন কংগ্রেসের দু’টি প্রতিনিধিদলের কাছে পরোক্ষে এই প্রশ্নটাই তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকায় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রে মার্কিনদের আরও বেশি চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা আইনে রদবদল ঘটিয়ে যেন ভারতীয় মেধা ও দক্ষতার অনুপ্রবেশে অযথা বাধা না দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২০:২৯
Share: Save:

শুধু ‘আমেরিকার কথাটাই আগে ভাবব’, এমন চিন্তাভাবনা করাটা আর যাই হোক, কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মানায় কি?

যথাসম্ভব কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে, ভারত সফররত মার্কিন কংগ্রেসের দু’টি প্রতিনিধিদলের কাছে পরোক্ষে এই প্রশ্নটাই তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, আমেরিকায় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রে মার্কিনদের আরও বেশি চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা আইনে রদবদল ঘটিয়ে যেন ভারতীয় মেধা ও দক্ষতার অনুপ্রবেশে অযথা বাধা না দেওয়া হয়।

রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই মার্কিন মুলুকে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা আইনে রদবদল ঘটাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। সংশ্লিষ্ট একটি বিলও এসে যায় মার্কিন কংগ্রেসে। আর তার জেরেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহল। কারণ, ওই বিলটি আইন হলে ভারতের ১৫ হাজার কোটি টাকার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভবিষ্যৎ কার্যত, অন্ধকার হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসের দু’টি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেছেন, তার নির্যাসটুকু এই যে, আমেরিকায় যে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি রয়েছে, সেখানকার ভারতীয় কর্মীদের যেন ‘বোঝা’ না ভাবা হয়। যেন তাঁদের সম্পদ মনে করা হয়। আর সেটা বোঝাতে গিয়ে ভারতে আসা মার্কিন কংগ্রেসের দু’টি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই ইতিহাসটা তুলে ধরেছেন, যাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, কী ভাবে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের দৌলতে মার্কিন অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থার লাভ হয়েছে। আমেরিকার উপকার হয়েছে। বাইরে থেকে ভাল জিনিস গ্রহণ করেও যে নিজেদের উন্নতি ঘটানো যায়, সেই সত্যটাও মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দক্ষ ও মেধাবী ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন যেন ভারসাম্য বজায় রেখে চলা নীতি গ্রহণ করে, তারও অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর্জি জানিয়েছেন অনেক বেশি দূরদর্শী নীতি গ্রহণ করার।

আরও পড়ুন- আমেরিকাকে টক্কর দিতে আরও এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার বানাচ্ছে চিন

মার্কিন মুলুকে টিসিএস, উইপ্রো, ইনফোসিসের মতো যে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলি রয়েছে, তারা এত দিন মূলত নির্ভর করতেন ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের ওপরেই। আর সেই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা মার্কিন মুলুকে কাজ করতেন মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদিত এইচ-ওয়ান-বি ভিসা নিয়ে। এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা নিয়ে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলিতে কাজ করছেন প্রায় ৬৫ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। কর্মী সুলভ হয় বলেই এত দিন ভারত থেকে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের চাকরি দিয়ে আমেরিকায় নিয়ে যেত ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জমানায় সেই আইনে বড়সড় রদবদল ঘটানোর প্রস্তুতি, তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে, আমেরিকায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পসংস্থাগুলির পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াটা খুব অসুবিধার হয়ে পড়েছে।

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লাও এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকেও একই কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE