ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে গ্রামের মন জয় করতে চান নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কাজের গতি বলছে, ভোটের আগে দেশের অর্ধেক গ্রাম সে কর্মসূচির সুফল পাবে না।
সাম্প্রতিক নির্বাচন ও উপনির্বাচনে গ্রামের কৃষক, দলিত, আদিবাসী জনজাতির ভোট পায়নি বিজেপি। মোদী-শাহ বুঝছেন, এই আবহে যেভাবে বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে টক্কর দিচ্ছে, একমাত্র কাজ করেই জয় সম্ভব। সেজন্য ‘গ্রাম’ ও ‘গরিব’ই হতে পারে মূল হাতিয়ার। সে কারণে কর্নাটক নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অমিত আজ ফের মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের। তাঁর পক্ষে যা ‘নজিরবিহীন’।
চলতি সপ্তাহে মোদী সরকারের চার বছর পূর্ণ হওয়ার মুখে অমিত আজ ঘোষণা করেন, ১৪ এপ্রিল অম্বেডকর জয়ন্তী থেকে ৫ মে পর্যন্ত সরকার ও বিজেপি মিলে ‘গ্রাম স্বরাজ অভিযান’ করে। তাতে দেশের ১৬,৮৫০টি গ্রামের (২১,৮৪৪টি গ্রামের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ ও কর্নাটক ভোটের কারণে সেখানকার গ্রাম ধরা হয়নি) সব ঘরে পৌঁছে গিয়েছে সরকারের সাতটি প্রকল্প। ১৫ অগস্টের মধ্যে আরও ৪৫,১৩৭ টি গ্রামে এই সুফল পৌঁছনোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এসব গ্রাম মূলত ১১৫টি পিছিয়ে পড়া জেলায়। এই সাতটি প্রকল্প হল, সব ঘরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, সকলকে রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ, এলইডি বাল্ব দেওয়া, ২ লক্ষ টাকার জীবন বিমা, অতিরিক্ত ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা ও শিশু-মহিলাদের টিকাকরণ। অমিতের দাবি, ২০১৯ সালের আগে দেশের সব গ্রামের সব ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে এই সাতটি প্রকল্প।
বিরোধীদের প্রশ্ন, ২০১১ সালের গণনা অনুসারে, দেশে মোট গ্রাম সাড়ে ৬ লক্ষ। ফলে চার মাসে দশ শতাংশের মতো গ্রাম যদি সরকারি লক্ষ্যমাত্রাই হয়, বাকি ছ’মাসে বাকি ৯০ শতাংশ কি করে পূর্ণ হবে? কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘এটিও ভাঁওতা।’’ বিজেপি অবশ্য বলছে, সব গ্রামে সুফল এমনিতেই পৌঁছচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy