প্রতীকী ছবি।
দিনের পর দিন মাকে ধর্ষণ করত মাদকাসক্ত ছেলে। শুধু তা-ই নয়, তার লালসার শিকার হয়েছেন জনা বারো মহিলা-সহ তার সৎ মা-ও। ছোটছেলের এই অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে বড় ছেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাকে খুন করালেন মা।। মুম্বইয়ের পশ্চিম ভাইন্দর এলাকার ঘটনা। ছেলেকে খুনের অভিযোগে গত রবিবার ওই মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে বসই থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার ছোটছেলে বছর একুশের রামচরণ রামদাস দ্বিবেদী নিয়মিত নেশা করত। নেশায় মত্ত হয়েই দিনের পর দিন নিজের মা ও সৎ মাকে ধর্ষণ করত সে। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বড় ছেলে সীতারামের সঙ্গে মিলে রামদাসকে খুনের পরিকল্পনা করেন ওই মহিলা। তাঁদের পরিকল্পনায় সামিল হন মহিলার দুই বন্ধু কেশব মিস্ত্রি ও রাকেশ যাদবও। রামচরণকে খুন করতে কেশব ও রাকেশকে ৫০ হাজার টাকাও দেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন
বেপাত্তা হওয়ার আগে ডেরায় ফিরেছিলেন হানিপ্রীত!
তর্পণ করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদা
পরিকল্পনা মতো গত ২০ অগস্ট ভুয়ো অজুহাত দেখিয়ে রামচরণকে একটি টেম্পোতে করে জনকিপাড়া এলাকায় নির্জন খনি এলাকায় নিয়ে যায় ওই সীতারাম, কেশব ও রাকেশ। এর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে রামচরণের গলার নলি কেটে ফেলে তাঁরা। খুনের পর তাঁর দেহ খনির ভিতরে ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যায় ওই তিন জন। পরের দিন রামচরণের দেহ উদ্ধার করে বালিভ থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রামচরণের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলতেই ঠাণে, ভাইন্দর ও পালঘর এলাকায় তার ছবি-সহ পোস্টার লাগিয়ে দেয় তারা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রামচরণের দেহ সনাক্ত করা যায়নি। তবে ওই খনি এলাকায় উদ্ধার হওয়া দেহের সঙ্গে রামচরণের চেহারার মিল খুঁজে পেতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। শেষমেশ ওই দেহের সূত্র ধরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্তরা।
বসই ডিভিসনের এডিপিও অনিল আকড়ে বলেন, “রামচরণকে খুনের অভিযোগে তাঁর মা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ পুলিশকে ভুয়ো তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশের কাছে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন তাঁরা। আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy