লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনের ধসবিধস্ত মাইগ্রেনডিসা এলাকা পরিদর্শন করলেন শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব।
আজ সকালে চন্দ্রনাথপুর থেকে ট্রলিতে তিনি মাইগ্রেনডিসা পৌঁছন। ধসবিধস্ত ৯২ কিলোমিটার অংশে যান সাংসদ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার অজিত পণ্ডিত, চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাজেন্দ্র প্রসাদ জিঞ্জার, জিও ফ্রন্টের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার বরুণ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন।
পাহাড় লাইনে ফের যাত্রী ট্রেন পরিষেবা শুরুর তারিখ সুস্মিতাদেবীকে নিশ্চিত করে জানাতে না পারেননি অজিতবাবু। তবে তিনি বলেন, ‘‘৭-৮ দিনের মধ্যে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। মাইগ্রেনডিসায় নতুন জায়গা দিয়ে ৩০০ মিটার লাইন বসানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে তাতে সমস্যা হচ্ছে।’’
মাইগ্রেনডিসা থেকে হাফলঙে ফিরে সুস্মিতাদেবী জানান, লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেললাইন থাকার সময় এ রকম সমস্যা হয়নি, যেটা এখন হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, মাইগ্রেনডিসায় ব্রডগেজ লাইন বসানোর আগে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সেখানকার মাটির গুনমান পরীক্ষা করেনি। মাইগ্রেনডিসায় নতুন লাইনে ৩-৪ দিনের মধ্যে ট্রেন চললেও ফের একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাংসদ বলেন, ‘‘যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর আগে এক বার বর্ষার মরসুমে ওই লাইনের পরিস্থিতি কী রকম থাকে, তা দেখা উচিত ছিল রেলকর্তাদের। বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মোদী সরকার লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে তাড়াহুড়ো করে ট্রেন চালু করে দেয়। তাতেই এখন দুর্ভোগে পড়েছেন বরাকবাসী।’’
সুস্মিতাদেবীর বক্তব্য, রেলের বিবৃতিতে না ভুলে তিনি নিজে মাইগ্রেন়ডিসায় কাজ দেখতে এসেছেন। তবে কাজ দেখে তিনি সন্তুষ্ট। তবে এ দিন শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের নির্মাণকাজ নিয়ে তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করেন। সুস্মিতাদেবী বলেন, ‘‘আড়াই বছর ধরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে কোনও কাজ করছে না। দেখেশুনে মনে হচ্ছে না ২০১৯ সালের আগে ওই রাস্তার কাজ শেষ হবে।’’ মোদী সরকার এ নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন সুস্মিতাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘ব্রডগেজে ট্রেন চালিয়ে বিধানসভা ভোটে সমর্থনের পালে হাওয়া টেনেছে বিজেপি। ২০১৯ ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর চালু করে লোকসভা ভোটে অসমে ভাল ফল করার স্বপ্ন দেখছে।’’ তিনি জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের নির্মাণকাজ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুলবেন। কথা বলবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে।
এ দিন নিউহাফলং স্টেশনে পৌঁছনোর পর সুস্মিতাদেবী প্রথমে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও করিডরের নির্মাণকাজে যুক্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy