এই সেই টিলা।
মুম্বইয়ের গলিঘুঁজি। আশাপাশের বহুতলগুলোয় পুরনো ছাপ। আর পাঁচটা দিনের মতোই শুরু হয় এখানকার জনজীবন। এই মহল্লার পাশেই শ্যাওলাধরা বেখাপ্পা এক টিলা। স্থানীয় বাচ্চাদের খেলার আদর্শ জায়গা। সেই টিলার উপর একটি মন্দির। বাধানো সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয় ওপরে। কেউ ভেবেও দেখেনি, পশ্চিম আন্ধেরির এমন জনবহুল এলাকায় কী ভাবে এল ওই টিলা। কী-ই বা তার পরিচয়?
টিলার একটা গালভরা নাম রয়েছে। গিলবার্ট হিল। তবে এর সুপ্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে যেন ভাবিত নয় কেউ। অথচ ওই টিলাই পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম নিদর্শন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, ‘নোবডি নোজ’ নামের একটি ভিডিও। জসকুঁওয়ার কোহালি ফিল্মস এবং অল্টার ইগো ক্রু-এর যৌথ প্রযোজনায় তৈরি করা হয়েছে ভিডিওটি। এই ভিডিও-র মাধ্যমেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।
আরও পড়ুন: সরবত বিক্রি করায় ৫ বছরের শিশুকে ১৫০ পাউন্ড জরিমানা!
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘দ্য ডেভিলস পস্টপাইল’
আজ থেকে প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগের মেসোজোনিক যুগের একটি ঘটনা। সেই সময় একটি অগ্নিপিণ্ড এসে পড়েছিল পৃথিবীর উপর। বিস্ফোরণে ঝলসে গিয়েছিল পৃথিবীর অনেকটা অংশ। সেই সময়ই ভারতের পশ্চিম দিকের প্রায় ৫০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল জ্বলন্ত লাভা। সেই বিস্ফোরণে সেই সময় নষ্ট হয়েছিল বহু প্রাণ। পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিল একাধিক প্রজাতিও। ধীরে ধীরে সেই জ্বলন্ত লাভা জমেই তৈরি হয়েছিল দৈত্যাকার এই শিলাগুলি। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই ভিডিওতে।
আমেরিকার ইয়োমিংয়ের ‘দ্য ডেভিলস টাওয়ার’
মুম্বই ছাড়া পৃথিবীর আর মাত্র দু’জায়গাতেই রয়েছে এ ধরনের শিলা। ক্যালিফোর্নিয়ার ‘দ্য ডেভিলস পস্টপাইল’ এবং আমেরিকার ইয়োমিংয়ের ‘দ্য ডেভিলস টাওয়ার’-এ পাওয়া যায় এই ধরনের প্রাচীন আগ্নেয়শিলা।
ভূতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, গিলবার্ট হিলটি ২০০ ফুট লম্বা। কালো ব্যাসল্ট শিলার মনোলিথ স্তম্ভ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তৈরি করেছে এই টিলা।
দেখুন সেই ভিডিও
১৯৫২ সালে ভারত সরকার গিলবার্ট পাহাজকে জাতীয় উদ্যানের তকমা দিয়েছিল। ২০০৭-এ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অব গ্রেটার মুম্বই এই এলাকাকে গ্রেড-২ হেরিটেজ স্ট্রাকচারের মর্যাদা দেয়। মহারাষ্ট্রের পর্যটন দফতর এই এলাকাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy