Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সঙ্ঘের ইফতারে বাদ পাকিস্তান

কিন্তু ডাক পাননি কোনও পাক নাগরিক। হাইকমিশনেও কোনও বার্তা যায়নি। গত বছর পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আবহে সেই আহ্বান ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ায় আমন্ত্রণ ফেরানো হয়।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৭ ০৩:২৮
Share: Save:

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আগামিকালই মুখোমুখি দু’দেশ। আর তার ঠিক আগের দিনে সঙ্ঘের মুসলিম সংগঠন জানিয়ে দিল, আগামী সোমবার তাদের ইফতার পার্টিতে বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা ডাক পেলেও বাদ রাখা হচ্ছে পাকিস্তানকে। পাক মদতে সন্ত্রাস সম্প্রতি যে ভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।

রমজান মাসে ফি-বছর সংসদ চত্বরে ইফতারের আয়োজন করে আরএসএসের ‘মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ’। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, ছাত্রদের আমন্ত্রণ জানায় তারা। এ বারও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা থেকে শুরু করে সৌদি আরব, কাতার, ইরান, ইরাক, সিরিয়ার মতো দেশগুলির প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বীরেন্দ্র সিংহ, অনুপ্রিয়া পটেল, মণিপুরের রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লাদের। থাকছেন ধর্মগুরুরাও।

কিন্তু ডাক পাননি কোনও পাক নাগরিক। হাইকমিশনেও কোনও বার্তা যায়নি। গত বছর পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আবহে সেই আহ্বান ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ায় আমন্ত্রণ ফেরানো হয়। সম্প্রতি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো ৭টি দেশ কাতারের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরে কূটনৈতিক দৌত্য শুরু করেছে ভারত। কেন্দ্রের বিদেশনীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বিবদমান এই দেশগুলিকে ইফতারে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সঙ্ঘের সংগঠন। তবু পাকিস্তানকে ডাকেনি।

মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের জাতীয় আহ্বায়ক গিরিশ জুয়াল বলেন, ‘‘ইফতার করা হয় সৌহার্দ্য রক্ষার জন্য। পাকিস্তান সেখানে বেমানান ভূমিকা নিচ্ছে।’’ সংগঠনের আর এক নেতা মহম্মদ আফজলের বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীরে যা ঘটেছে, তার নেপথ্যেও পাকিস্তান। তাদের আমন্ত্রণ জানালে ইফতারের সুরটিই কেটে যাবে।’’

চোরাস্রোত বইছে আরও একটি বিতর্কের। গো-রক্ষা বিতর্ক শুরুর পর থেকেই তাদের আয়োজিত বিভিন্ন ইফতারে গরুর দুধ খাইয়ে উপবাস ভাঙানো চালু করেছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। সম্প্রতি অযোধ্যায় তেমনই একটি ইফতারের পরে সঙ্ঘের নেতা ইন্দ্রেশ কুমার দাবি করেন, সেখানকার মুসলিমরা নাকি প্রতিজ্ঞা করেছেন, তাঁরা গোমাংস খাবেন না। সোমবার সংসদের ইফতারেও থাকছে দুধ। নেতাদের দাবি, মুসলিমরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবু অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE