রাহুল গাঁধীর স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, একটা ধাক্কা দেওয়া দরকার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। কারণ, উত্তরপ্রদেশ জিতে এসে সংসদেও মোদী সরকারের ‘দাদাগিরি’ বেড়ে গিয়েছে। শুধু কংগ্রেস নয়, সিপিএম থেকে সমাজবাদী পার্টি— সব বিরোধীরাই এই অভিযোগ তুলছিলেন। আজ তাই রাজ্যসভায় একজোট হয়ে সব বিরোধীরা অর্থ বিলে ঝটকা দিল মোদী সরকারকে। অর্থ বিলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অরুণ জেটলির প্রস্তাব খারিজ করে দিল রাজ্যসভা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল বাধা দিলেও কাজ করুন: মোদী
এমনিতেই রাজ্যসভায় মোদী সরকার সংখ্যালঘু। তার পরে তৃণমূল বাদে সব বিরোধী দল একজোট হয়ে আজ ভোটাভুটিতে সরকারকে হারিয়ে দিয়েছে। পাশ হয়েছে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ ও সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির তিনটি আপত্তি-মূলক সংশোধনী। লোকসভায় পাশ হওয়া অর্থ বিলে রাজ্যসভা কোনও পরিবর্তন করতে পারে না। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, এর সুযোগ নিয়েই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অর্থ বিলের মাধ্যমে এক গুচ্ছ আইন বদল করছেন। যার অনেক কিছুর সঙ্গেই বাজেট বা অর্থ বিলের কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি জেটলিকে নিশানা করে বলেন, ‘‘উনি নিজে রাজ্যসভার সদস্য। নিজেই নিজের অধিকার খর্ব করছেন। এর পর রাজ্যসভার সদস্যদের পদত্যাগ করা উচিত।’’ নিয়ম অনুযায়ী, আজ রাজ্যসভায় বিরোধীদের সংশোধনী-সমেত অর্থ বিল ফের লোকসভায় যাবে। বিরোধীরা জানেন, লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে মোদী সরকার রাজ্যসভার আপত্তি খারিজ করে দেবে। তা সত্ত্বেও সরকারের ‘নৈতিক পরাজয়’ হল বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। কারণ না দেখিয়ে বাড়ি-দফতরে আয়কর তল্লাশি, সেবামূলক সংস্থায় নজরদারি নিয়েও আপত্তি তোলেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy