নরেন্দ্র মোদী।
দুর্নীতির বদলে দুর্নীতি।
মনমোহন সিংহ সরকারের গায়ে দুর্নীতির কালি লেপে তখ্ত উল্টে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গাঁধীর অভিষেকের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই কাজটিই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শুরু করে দিল উজ্জীবিত কংগ্রেস। জবাব দিতে তড়িঘড়ি আসরে নামলেন বিজেপি নেতৃত্বও।
গত সাড়ে তিন বছরে মোদী প্রচার করেছেন, তিনি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত সরকার দিয়েছেন। গত কাল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া ও রাহুল অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগের ভয়েই গুজরাত ভোটের আগে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছোচ্ছেন মোদী। আজ গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মার মতো নেতাদের মুখ দিয়ে সেই অভিযোগটিই করল কংগ্রেস। সঙ্গে তুলল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আধ ডজন দুর্নীতির অভিযোগ। এই নেতাদের মতে, সংসদ কবে বসবে, সরকারের কোনও মন্ত্রী, এমনকী স্পিকারও বলতে পারছেন না। খাড়গের কথায়, ‘‘কারণ একজনই (নরেন্দ্র মোদী) ব্রহ্মা। তিনিই স্রষ্টা। তিনি জানাননি, তাই বাকিদেরও জানা নেই!’’
আরও পড়ুন: শ্রীশ্রী নয়, অযোধ্যা নিয়ে যোগীর ভরসা আদালতই
‘ব্রহ্মা’ কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘মোদী ‘ব্রহ্মা’? তিনি ‘নতুন ভারত’-এর স্রষ্টা।’’ তিনি জানান, সংসদ আগেও নানা কারণে পিছনো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংসদ ডাকার সময় আছে। যদিও সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার আজ জানিয়েছেন, দ্রুত সংসদ ডাকা হবে।
কংগ্রেসের বক্তব্য, যে সব দুর্নীতির অভিযোগ এড়াতে মোদী সংসদ এড়াচ্ছেন, তার শীর্ষে আছে অমিত শাহের ছেলে জয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধির সমীকরণ। এক নেতার কটাক্ষ, ‘‘এই সমীকরণটি মোদী-শাহ সবাইকে জানালে সব লোকেরই উন্নতি হত!’’ কংগ্রেসের দ্বিতীয় অভিযোগ রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় এক বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা দিতে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাফাল নিয়ে মোদীকে বিঁধে রাহুল এ দিন টুইটারে বলেন, ‘‘মোদীজি, লুকিয়ে না থেকে সংসদ চালু করুন এবং রাফাল নিয়ে কী করেছেন, সেটা দেশবাসীকে জানান।’’ কংগ্রেসের মতে, মোদীর তৃতীয় বড় দুর্নীতি নোটবন্দি। সঠিক তদন্ত হলেই দুর্নীতি ফাঁস হবে। পাশাপাশি অজিত ডোভালের ছেলের থিঙ্কট্যাঙ্কে এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থাকা-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সংসদে প্রথম দিন পা দিয়ে তাকে মন্দির বলে প্রণাম করেছিলেন। এখন সেই মন্দিরই এড়াচ্ছেন! আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘ইউপিএ জমানায় সিএজি রিপোর্টের ভিত্তিতে শুধু মাত্র কাল্পনিক রাজকোষ ঘাটতির প্রচার করে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন মোদী। এ বারে আসল দুর্নীতি সামনে এসেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy