ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন মাত্র পাঁচ মাস। তার পর এই প্রথম এত বড় প্যাঁচে পড়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। এই মুহূর্তে তারই পূর্ণ সুযোগ নিতে তৎপর নরেন্দ্র মোদীর অনুগামীরা।
গত সপ্তাহে পাঁচ দিনে ৬০টিরও বেশি শিশুমৃত্যুর পরে চলতি সপ্তাহেও সোম থেকে বুধবারের মধ্যে ৩৪টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ৮টি শিশু মারা গিয়েছে এনসেফ্যালাইটিস ওয়ার্ডেই।
বিজেপির অন্দরমহলের খবর, গোরক্ষপুরের এই ঘটনা নিয়ে মোদী শিবির এখন আদিত্যনাথকে রীতিমোত চাপে রাখতে চাইছে। বোঝাতে চাইছে, আদিত্যনাথের নিজের কেন্দ্র গোরক্ষপুরে এতগুলি শিশুর মৃত্যুর জন্য সার্বিক ভাবে বিজেপিকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।
সেই সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠ নেতারা এও দেখাতে চাইছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর দফতরের কর্তাদের মাঠে নামিয়ে প্রধানমন্ত্রীই আসলে পরিস্থিতিটা সামলাচ্ছেন। যোগী নন, উত্তরপ্রদেশেও মোদীই কর্ণধার। আদিত্যনাথ নিজেকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বলে যে জল্পনা চলছিল, এই সাঁড়াশি আক্রমণে আপাতত তাতে জল ঢেলে দিতে চাইছে মোদী শিবির।
আরও পড়ুন: মোদী-সঙ্ঘকে তির, এক মঞ্চে বিরোধীরা
দিল্লিতে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সাংসদ হিসেবে বারবার এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে সরব হয়েছেন বলে আদিত্যনাথ মোটেই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তিনিই ক্ষমতায় এসে রাজ্যের বাজেটে মেডিক্যাল কলেজগুলির বরাদ্দ ৫০ শতাংশ ছাঁটাই করেছেন।’’ দলেই কথা উঠছে যে, গোরক্ষপুরে আদিত্যনাথ ও তাঁর হিন্দু যুবা বাহিনীরই শাসন চলে। নগর নিগমও বিজেপিরও। ফলে আঙুল যে বিজেপির দিকেই উঠবে, সেটা স্বাভাবিক। মোদী শিবিরের দাবি, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে মাঠে নামতে হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতাতেও গোরক্ষপুর নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করতে হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের যুক্তি, দলের মুখ্যমন্ত্রীরা বিপাকে পড়লে তাঁকে এক দিকে বিপদ থেকে বাঁচানো, অন্য দিকে সেই সুযোগ নিয়ে তাঁকে নিয়ন্ত্রণে রাখার রাজনীতি মোদী জমানায় নতুন নয়। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান যখন ব্যপম-কেলেঙ্কারি নিয়ে চাপে পড়েছেন, তখনও এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল। একই ভাবে ললিত মোদীকে ঘিরে কেলেঙ্কারিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ায় নাম জড়ানোর পরে তাঁকে চাপে রেখেছেন মোদী। ঘরের মাঠে বেকায়দায় পড়া যোগীর নামও এ বার সেই তালিকাতেই জুড়তে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy