Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

নরোডা পাটিয়া গণহত্যায় বেকসুর খালাস মায়াবেন কোডনানী

২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়। তার পরেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাতে। ২৮ ফেব্রুয়ারি অমদাবাদ লাগোয়া নারোডা পাটিয়ায় সংখ্যালঘু মহল্লায় ভয়ঙ্কর হামলা হয়। অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়।

মায়াবেন কোডনানী।- ফাইল চিত্র।

মায়াবেন কোডনানী।- ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
গাঁধীনগর শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:৪৮
Share: Save:

সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়া এবং গণহত্যার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেলেন গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়াবেন কোডনানী। ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ড পরবর্তী হিংসায় অমদাবাদের নরোডা পাটিয়ায় সবচেয়ে বড় গণহত্যাটি ঘটেছিল। স্থানীয় বিধায়ক মায়াবেন কোডনানী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ দিন জেলেও কাটাতে হয় তাঁকে। কিন্তু শুক্রবার গুজরাত হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, মায়া কোডনানীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই প্রমাণ করা যায়নি।

২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়। তার পরেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাতে। ২৮ ফেব্রুয়ারি অমদাবাদ লাগোয়া নারোডা পাটিয়ায় সংখ্যালঘু মহল্লায় ভয়ঙ্কর হামলা হয়। অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়।

এলাকার বিধায়ক মায়া কোডনানী সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে হিংসায় উস্কানি দিয়েছিলেন মায়া, দাঙ্গাকারীদের হাতে তরোয়াল তুলে দিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে— এমনই অভিযোগ ওঠে।

এই ভয়ঙ্কর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কিন্তু মায়াবেন কোডনানীর রাজনৈতিক অগ্রগতি থামেনি। ২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা পরবর্তী নির্বাচনে তিনি নরোডা কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোটে জয়ী হন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। তার মধ্যেই ২০০৭ সালে তিনি নরোডা থেকে ফের ১ লক্ষ ৮০ হাজার ভোটে জয়ী হন। নরেন্দ্র মোদী তাঁকে নিজের মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করেন, গুজরাতের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর পান মায়া কোডনানী।

আরও পড়ুন- সুরাত: আটকে রেখে ধর্ষণ করেই খুন​

আরও পড়ুন- গুজরাতে জমি বিক্ষোভ,কৃষকদের মার পুলিশের​

কিন্তু মন্ত্রী হয়েও রেহাই মেলেনি। ২০১২ সালে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। বছর দুয়েক জেলে কাটানোর পর ২০১৪ সালে অসুস্থতার কারণে জামিন পান মোয়া কোডনানী।

এ বার তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন। গুজরাত হাইকোর্ট শুক্রবার জানাল, হিংসা এবং গণহত্যায় নেতৃত্ব দেওয়ার যে সব অভিযোগ কোডনানীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তদন্তকারীরা জোগাড় করতে পারেননি।

সাম্প্রদায়িক হিংসার তদন্তে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠিত হয়েছিল, সেই দল ১১ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে আদালতে পেশ করে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউই বলেননি যে, মায়া কোডনানী হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গোধরা কাণ্ডের পরের দিন নরোডা পাটিয়ায় মায়া কোডনানী গিয়েছিলেন এবং গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছিলেন— আদালতকে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। কিন্তু এই বয়ানের ভিত্তিতে প্রমাণ করা যায়নি যে, মায়া কোডনানী হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE