রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থনের বিনিময়ে মোদী সরকারে মন্ত্রী বাড়ানোর শর্ত চাপালেন উদ্ধব ঠাকরে।
গত কাল রাতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এই শর্ত দিয়েছেন শিবসেনার শীর্ষ নেতা। তবে এনডিএ-র বৈঠকে উদ্ধব-সহ সকলে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই পরের লোকসভা ভোট লড়তে রাজি আছেন তাঁরা। শরিক অকালি দলের নেতা প্রকাশ সিংহ বাদল তো বলেই ফেলেন, শুধু ২০১৯ নয়, ২০২৪ সালেও মোদীর নেতৃত্বে লোকসভা ভোট হবে।
শিবসেনা সূত্রের মতে, গত দু’বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনা কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। এ বার তারা বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করতে রাজি। কিন্তু শর্ত দুটি। এক, একতরফা সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিজেপি যেন শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী স্থির করে। দুই, মনোহর পর্রীকরের ইস্তফার পর মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদল অবশ্যম্ভাবী। সেখানে শিবসেনার আরও মন্ত্রীকে সামিল করতে হবে। মহারাষ্ট্রেও চাই শিবসেনার আরও মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মতো মহারাষ্ট্রেও কৃষি ঋণ মকুবের দাবি জানিয়েছেন উদ্ধব।
আরও পড়ুন: জোট নিয়ে কথা সনিয়া-মমতার
বিজেপি সূত্রের মতে, শিবসেনা নেতার দাবি ‘বিবেচনা’ করার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু দলের কাছে স্বস্তির বিষয়, উদ্ধব ঠাকরে রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থীকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যে কোনও মূল্যে বিজেপি এ বার নিজেদের জোরেই রাষ্ট্রপতির প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে চাইছে। সংখ্যার একটু ঘাটতি এখনও রয়েছে। কিছু বন্ধু দলের সমর্থন নিয়ে তা মেটাতে হবে। সেই কারণেই মনোহর পর্রীকর, যোগী আদিত্যনাথরা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে সাংসদ পদ থেকে তাঁদের ইস্তফা দিতে বারণ করা হয়েছে।
শরিকদের মধ্যে একমাত্র শিবসেনাই সব থেকে বেশি বেগ দেয় বিজেপিকে। ভোটের সময় আলাদা লড়েও নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করে। গত কাল অবশ্য অমিত শাহ উদ্ধবকে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও বিতর্কিত বিষয় যেন এনডিএ-র মঞ্চের বাইরে প্রকাশ করা না হয়। উদ্ধব বলেছেন, মোদী সরকারের তিন বছরের মাথায় এনডিএর সকলকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করা হল। এই সমন্বয় বাড়ানো জরুরি। এই প্রস্তাব অমিত শাহ মেনে নিয়েছেন।
শিবসেনার এক নেতার কথায়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে শরিকদের যে সম্মান দেওয়া হতো, এখন চাপে পড়লেই তা দেখানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy