Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে ফিরলেন ব্রাসেলস হানার সেই মুখ নিধি

বিস্ফোরণ-বিধ্বস্ত ব্রাসেলস বিমানবন্দরের চেয়ারে বসে এক মহিলা। রক্তাক্ত। একটা পা মাটিতে, আর একটা চেয়ারে তোলা। পরনের হলুদ রঙা পোশাকটা ছিন্নভিন্ন। দৃষ্টিটা ঘোলাটে। গত ২২ মার্চ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছেয়ে গিয়েছিল এই ছবিটা। বলা হচ্ছিল, গোটা ব্রাসেলস হামলার এক মাত্র মুখ চেয়ারে বসা ওই মহিলাই।

সে দিনের হামলার পরে নিধি। — ফাইল চিত্র

সে দিনের হামলার পরে নিধি। — ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৬ ০৩:৩৭
Share: Save:

বিস্ফোরণ-বিধ্বস্ত ব্রাসেলস বিমানবন্দরের চেয়ারে বসে এক মহিলা। রক্তাক্ত। একটা পা মাটিতে, আর একটা চেয়ারে তোলা। পরনের হলুদ রঙা পোশাকটা ছিন্নভিন্ন। দৃষ্টিটা ঘোলাটে। গত ২২ মার্চ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছেয়ে গিয়েছিল এই ছবিটা। বলা হচ্ছিল, গোটা ব্রাসেলস হামলার এক মাত্র মুখ চেয়ারে বসা ওই মহিলাই।

বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরেই জানা গিয়েছিল, চেয়ারে বসা সেই মহিলা ভারতীয়। নাম নিধি চাপহেকর। বছর বিয়াল্লিশের নিধি জেট এয়ারওয়েজের কর্মী ছিলেন। এত দিন বেলজিয়ামের হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। আজ ভোরে দেশে ফিরেছেন তিনি। যদিও হুইলচেয়ারে চেপে। তাঁর স্বামী রূপেশ চাপহেকর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আপাতত বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে নিধিকে। তবে তিনি আগের থেকে সুস্থ, স্থিতিশীল।

সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ প্যারিস থেকে মুম্বইগামী জেটের উড়ান মুম্বইয়ের মাটি ছোঁয়। বিমানবন্দরে নিধির পাশে ছিলেন তাঁর স্বামী ও দেওর। রূপেশ বলেন, ‘‘ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ভুলতে চাই। ওর দেশে ফেরা তাই আমাদের সকলের জন্য আবেগঘন মুহূর্ত। আমাদের সন্তানরা তাদের মাকে দেখে খুশি হবে। ছ’সপ্তাহ পরে নিধিকে দেখবে ওরা। পড়াশোনার জন্যই ওদের বেলজিয়ামে নিয়ে যেতে পারিনি।’’

ব্রাসেলসের হাসপাতালে ২৫ দিন ওষুধ দিয়ে কোমায় আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল নিধিকে। বিস্ফোরণের জেরে তাঁর চামড়ার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল। ‘স্কিন গ্রাফ্টিং’-এর সাহায্যে ঠিক করা হয়েছে সেগুলো। যে হাসপাতালে এত দিন নিধির চিকিৎসা চলছিল, সেখানকার সব চিকিৎসক ও কর্মীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রূপেশ। বলেছেন, ‘‘এত দিন ধরে ওঁরা যে ভাবে আমার স্ত্রীর দেখভাল করেছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। ওঁদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’’

১৯৯৬ সাল থেকে জেটের কর্মী নিধি। আজ একটি বিবৃতি দিয়েছেন জেট কর্তৃপক্ষ। জানিয়েছেন, নিধি এখন মানসিক ভাবে চাঙ্গা। দেশে ফিরে খুশিও। কিন্তু শারীরিক ভাবে নিধি এখনও দুর্বল। নিজে কথা বলার অবস্থায় নেই। তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, নিধির ক্ষতগুলো তাড়াতাড়ি সারলেও তাঁর পুরো সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। নিধির শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাও এখন কম। তাই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাঁর স্ত্রী বিস্ফোরণের সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছেন বলেই দাবি করেছেন রূপেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE