তেজস্বী যাদব।
তেজস্বী প্রসাদের কাছ থেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কেড়ে নিতে পারেন নীতীশ কুমার— রবিবার পটনায় জেডিইউ বিধায়ক দলের বৈঠকের আগে এমনই জল্পনা ছড়িয়েছিল রাজ্য জুড়ে। একই দিনে পটনায় লালুপ্রসাদের বাসভবনে বিধায়কদের জরুরি বৈঠক শুরু হওয়ায় উত্তাপ ছড়ায় দেশের রাজনৈতিক মহলেও। কিন্তু সন্ধেয় বৈঠকের পর উভয় পক্ষ জানায়, আগামী কাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েই বৈঠকে কথাবার্তা হয়েছে।
মহাজোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ কোনও বার্তা না মিললেও জেডিইউয়ের অন্দরমহলের খবর, দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও ভাবেই আপস করতে রাজি নন নীতীশ। তেজস্বী পদত্যাগ না করলে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এবং তা নেবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন মিটলেই। এ দিন বিকেলে বৈঠকের পর জেডিইউয়ের প্রদেশ সভাপতি বশিষ্ঠনারায়ণ সিংহ দাবি করেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েই দলের নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হয়েছে।’’ কিন্তু দলীয় সূত্রে খবর, বিধায়কদের সামনে নীতীশ মহাজোটের টানাপড়েন নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তোপ দেগেছেন জেডিইউ বিধায়ক শ্যামবাহাদুর সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘তেজস্বী যাদবের পদত্যাগ করা উচিত। তাতে সরকার পড়ে গেলে আমরা নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত।’’ বিধায়ক কবিতা সিংহের বক্তব্য, ‘‘তেজস্বী পদত্যাগ করলেই সবার ভাল হবে।’’
বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পর আত্মপক্ষ সমর্থনে তেজস্বীকে শনিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু তেজস্বী বুঝিয়ে দেন, পদ ছাড়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। আরজেডি শীর্ষ নেতা লালুপ্রসাদও সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন। এর পরই এ দিন ‘যুযুধান’ দুই জোট শরিকের পৃথক বৈঠক ঘিরে জল্পনা ছড়ায়। জেডিইউ বিধায়ক দলের বৈঠক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। কিন্তু লালুপ্রসাদ আচমকা বিধায়কদের ডেকে পাঠানোয় রাজনৈতিক শিবিরে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। বিরোধী কয়েক জন নেতার বক্তব্য, এ সব কার্যত দু’দলের শক্তি প্রদর্শন। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘ক্রস ভোটিং’য়ের আশঙ্কা করছে দু’দলই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy