রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের মহাজোট বানানোর লক্ষ্যে আজ দশ জনপথে এসে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশে পরাজয়ের পর কংগ্রেস থেকে নেতাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। আজ সকালে রটে যায়, দিল্লিতে কংগ্রেসের বড় নেতা কমল নাথও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় আগেই কমল নাথের আসার সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছিলেন। গুজব মাথাচাড়া দেয়, বিকেলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিবরাজ সিংহ চৌহানের বৈঠক ঘিরে। দিল্লি কংগ্রেসের মহিলা মোর্চার প্রধান বরখা সিংহ শুক্লও ইস্তফা দিয়েছেন। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বও এখন প্রশ্নের মুখে। এমন একটি সময়ে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকেই মহাজোটে উদ্যোগী হতে বলেছেন নীতীশ।
জেডিইউ সূত্রের মতে, পরের লোকসভায় নীতীশ নিজে বিরোধী জোটের মুখ হতে চান। কিন্তু তার আগে বিরোধী জোটের নেতৃত্বের প্রশ্নে বড় দল কংগ্রেসকে সেই সুযোগ দিতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী মঞ্চ বানানোর কাজ আগেই শুরু করেছেন রাহুল। আজ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠক করে মমতা ফের ধর্মনিরপেক্ষ জোটের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মা-ছেলেকে হারানোর পণ অমিত শাহের
বিজেপি শিবির অবশ্য বলছে— কংগ্রেসের যা হাল, তাতে তারা কতটা নেতৃত্ব দিতে পারবে, তা নিয়ে নীতীশের মনেও সংশয় রয়েছে। কংগ্রেসে বিমুখ করলে তিনি বিজেপির সঙ্গে ফের হাত মেলাতে পারেন। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপাতত নীতীশকে মেনে নিতে বিজেপিরও সমস্যা নেই। তবে বিরোধী জোট গড়েও যাতে বিজেপিকে ঠেকানো না যায়, মোদী-শাহ জুটি সেই রণনীতিই তৈরি করছেন।
ক’দিন আগেই এনডিএ-র সব শরিককে নিয়ে বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদী নিজের শিবিরকে একজোট করেছেন। রবিবার অমিত শাহও বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন। সেটি অবশ্য মূলত জিএসটি ও মোদী সরকারের গরিব-কল্যাণ প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনার বৈঠক। কিন্তু এটিকে সামনে রেখে অমিত শাহও দলকে সংগঠিত করতে চাইছেন, যাতে মোদীর প্রকল্প রূপায়িত করে এককাট্টা বিরোধীদের মোকাবিলা করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy