এক সময়ে স্কুলের টিউশন ফি দেওয়ার টাকা ছিল না তাঁর। সংসার টানতে রিকশাও চালিয়েছেন। বিহারের গোপালগঞ্জের ফুলবরিয়া গ্রাম থেকে জীবন শুরু করে আজ ৭০-এ পা দিলেন সেই লালুপ্রসাদ যাদব। জন্মদিনে তিনি বলেন, ‘‘কাউকে কথা দিয়ে তা রাখিনি, এমন কখনও হয়নি। নীতীশকেও যে কথা দিয়েছি, তা রাখব।’’ পটনার ১০ নম্বর সার্কুলার রোডে লালুর বাড়িতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘আমরা হাতে হাত মিলিয়ে বিহারের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।’’
আরজেডি শীর্ষনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এ দিন সকালেই তাঁর বাড়িতে হাজির হন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছিল গোলাপের তোড়া। কিছুক্ষণ দুই নেতার কথাবার্তা হয়। খোশমেজাজে ছিলেন লালু। সকাল থেকেই দলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রীরা তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান। ভিড় ছিল আরজেডি দফতরেও।
সিবিআই আদালতে হাজিরা, আয়কর হানার রেশ কাটিয়ে এ দিন বাড়িতে কার্যত জনতার দরবার বসান লালু। পরে বিহার সচিবালয়ে দিঘা-শোনপুর সেতু এবং আরা-ছপড়া সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামিল হন। নীতীশের পাশে বসে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণও করেন।
আরজেডি সভাপতিকে ফোনে শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। ১৪ জুন লালুকে দিল্লি যাওয়ার আমন্ত্রণও জানান। সে দিন রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানান লালু। লালুকে শুভেচ্ছা জানান ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরাণ্ডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy