Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

এখনও অচেতন ইন্দ্রাণী, চলছে অক্সিজেন

এখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন শিনা বরা হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। জে জে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারও ইন্দ্রাণীর জ্ঞান ফেরেনি। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা করছেন বলে হাসপাতালের ডিন জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৪৯
Share: Save:

এখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন শিনা বরা হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। জে জে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারও ইন্দ্রাণীর জ্ঞান ফেরেনি। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা করছেন বলে হাসপাতালের ডিন টি পি লাহানে জানিয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মানসিক অবসাদ কাটানোর ওষুধ বেশি পরিমাণে খাওয়ায়ই ইন্দ্রাণীর অসুস্থতার কারণ। তাঁর মূত্রের নমূনায় অবসাদ কাটানোর ওষুধ বেনজোডায়াজিপাইনের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি মিলেছে বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

মৃগীর ওষুধ খেয়ে যে অসুস্থতা নয়, সে বিষয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত। হিন্দুজা হাসপাতালা পরীক্ষাগারের রিপোর্ট বলছে, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মূত্রের নমূনায় মৃগীর ওষুধ মেলেনি। মানসিক অবসাদ কাটানোর ওষুধই মিলেছে। তবে সেই উপস্থিতির পরিমাণ অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। টি পি লাহানের কথায়, কেউ যদি অবসাদের ওষুধ খান, তা হলে তাঁর মূত্রে বেনজোডায়াজিপাইনের উপস্থিতির মাত্রা থাকে ২০০। ইন্দ্রাণীর ক্ষেত্রে তা ২০৮৮। অতিরিক্ত বেনজোডায়াজিপাইন সেবনই তাঁকে গভীরভাবে অচেতন করে রেখেছে বলে লাহানে জানিয়েছেন। তবে ইন্দ্রাণীকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়নি। তিনি নিজে শ্বাস নিতে পারছেন না বলে, তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

ইন্দ্রাণীকে গত কাল দুপুরে জে জে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মৃগীরোগের ওষুধ বেশি খেয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে আশঙ্কা ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বাইকালা মহিলা জেলে ছিলেন ইন্দ্রাণী। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, জেলকর্মীদের নজরদারিতেই মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ইন্দ্রাণী মৃগীর ওষুধ খেতেন। কিন্তু, মৃগীরোগের তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন ইন্দ্রাণীর কৌঁসুলি গুঞ্জন মঙ্গলা। তিনি বলেন, ‘‘ইন্দ্রাণীর মৃগীর কথা আমার জানা নেই। তিনি কোনও ওষুধ খাওয়ার কথাও আমায় বলেননি। মামলার অন্য অভিযুক্ত, ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না মৃগীর ওযুধ চেয়েছিলেন।’’ পরে মহারাষ্ট্রের আইজি (কারা) বিপিনকুমার সিংহ জানান, মৃগী নয়, ইন্দ্রাণী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। জে জে হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞই তাঁকে ওই ওষুধ খেতে বলেছিলেন।

শনিবার জে জে হাসপাতালে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন গুঞ্জন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ ছাড়া মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বলে গুঞ্জনকে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল। তবে ডিন টি পি লাহানে ইন্দ্রাণী সম্পর্কে গুঞ্জনকে বিস্তারিত জানান। এর পরে সিবিআই ম্যাজিস্ট্রেট আর ভি আড়োনের এজলাসে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আর্জি জানান গুঞ্জন। তাঁর আবেদন, কেন হাসপাতালে যেতে হল তা খোদ ইন্দ্রাণীর কাছ থেকেই তিনি জানতে চান। এই আর্জির ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে ইন্দ্রাণী সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE