প্রতীকী ছবি।
পৃথক রাজ্যের পথে যাওয়া যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ত্রিপুরায় ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আইপিএফটি নেতাদের নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গড়া হবে। ভোটের পরে এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিল, ওই ধরনের কোনও কমিটির গড়ার পরিকল্পনাও এখন নেই!
নির্বাচনে জয়ের পরেই আইপিএফটি নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিলেন, পৃথক ‘তিপ্রাল্যান্ডে’র দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের জবাব কি তাঁদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে? ত্রিপুরা মন্ত্রিসভার দুই সদস্য, আইপিএফটি সভাপতি এন সি দেববর্মা ও সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়া দলে আলোচনার আগে এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা বুধবার রাতেই দলে ঘরোয়া আলোচনায় বসেছেন।
রাজ্যসভায় বাংলার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল, ত্রিপুরার উপজাতি মানুষের জন্য পৃথক রাজ্য ‘তিপ্রাল্যান্ডে’র দাবি পর্যালোচনা করতে উচ্চ ক্ষমতার কোনও কমিটি গড়া হচ্ছে কি? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রতিমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘‘নতুন রাজ্যের জন্য বিভিন্ন সময়ে বহু সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে দাবি এসেছে। কিন্তু নতুন রাজ্য তৈরির প্রভাব সুদূরপ্রসারী। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরেও তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে। মূল রাজ্যে বিস্তৃত সহমত থাকলে তবেই কেন্দ্র এই বিষয়ে পদক্ষেপ করবে এবং তা করা হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই।’’
সাংসদ ঋতব্রতের মন্তব্য, ‘‘আইপিএফটি-র সঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য তো মিলছে না!’’ ত্রিপুরা বিজেপির এক রাজ্য নেতা অবশ্য বলছেন, দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনার পরে জানিয়ে দিয়েছেন, পৃথক রাজ্যের কোনও সম্ভাবনা নেই। বাকি বিষয়টিও তাঁরা জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র সঙ্গে রাজ্যে বোঝাপড়া করে নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy