‘নিষিদ্ধ’ রাজ্য বিহারে টালমাটাল আইনরক্ষককে তাড়া করে ধরল শুল্ক দফতরের অফিসাররা।
মুজফ্ফরপুরের কাজি মহম্মদপুর থানার ওসি রামেশ্বর সিংহ যে ‘মত্ত’ হয়ে থাকেন সে খবর আগাম ছিল শুল্ক দফতরের কাছে। গত রাতে থানায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরা হয়। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, ধরা খুব সহজ হয়নি। বিস্তর ধাক্কাধাক্কির পর যখন মত্ত ওসিকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি ফাঁকতালে পালানোর চেষ্টাও করেন। টাউন ডিএসপি আশিস আনন্দ জানিয়েছেন, থানার পুলিশরাই তাঁর পিছু ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি হিসেব মেলাতে গিয়ে শুল্ক দফতর দেখে আটক করা ন’লক্ষ লিটার মদের অনেকটাই রাজ্যের বিভিন্ন থানা থেকে উধাও। কৈফিয়ৎ দিতে গিয়ে কিছু থানাদার বলেন, মদ ইঁদুরে খেয়েছে। তার পরেই থানায় থানায় অভিযান শুরু হয়েছে। গত বুধবার পটনার পুলিশ লাইন থেকেই বিহার পুলিশ মেনস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল সিংহ ও আর এক কর্মকর্তা সমশের খানকে মত্ত অবস্থান শুল্ক দফতরের অফিসাররা গ্রেফতার করেন। তাঁরা এখন আদালতের নির্দেশে বেউর জেল হাজতে রয়েছেন।
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দোষী পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে এ বার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশের উপরেই যখন তখন ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ ব্যবহারের কথাও ভাবতে শুরু করেছেন পদস্থ কর্তারা। আজ পটনার এসএসপি মনু মহারাজ জানিয়েছেন, সাধারণ ভাবে পুলিশ এই যন্ত্র গাড়িচালকদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেখেন তাঁরা মদ্যপ কিনা। এ বার পুলিশের বিরুদ্ধেই যত্রতত্র, যখন তখন এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে আটক মদ সময়ে সময়ে ‘নষ্ট’ করার জন্য পুলিশ আদালতেরও অনুমতি চাইবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy