প্রতীকী ছবি।
নোটবন্দির বর্ষপূর্তির দিনে পশ্চিমবঙ্গে ‘কালো দিন’ পালন করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একই সঙ্গে সব রাজ্যেই ১৮টি বিরোধী দল নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানাবে বিক্ষোভ-সমাবেশের মাধ্যমে।
দিল্লিতে ১৮টি বিরোধী দলের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছিল গত কালই। এর পরে আজ গুলাম নবি আজাদ, ডেরেক ও’ব্রায়েন, শরদ যাদবেরা একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করলেন, নোট বাতিলে মানুষের ভোগান্তিই শুধু হয়নি। দেশের অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ডেরেক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করার এক ঘণ্টার মধ্যে মমতা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। এখনও সরকার সেই সংশয় দূর করেনি, প্রশ্নেরও জবাব দেয়নি। এটি সব থেকে বড় দুর্নীতি। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হবে এ নিয়ে।’’
আর্থিক মন্দা সামাল দিতে ও জিএসটি নিয়ে এমনিতেই ভোটের মুখে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। এরই মধ্যে নোট বাতিল নিয়ে এক বছর পুরনো স্মৃতি জনমানসে ফিরিয়ে আনতে বিরোধীরা যে ভাবে একজোট হয়ে সক্রিয় হচ্ছে, তাতে নতুন করে অশনি সঙ্কেত দেখছে শাসক দল। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাই বিরোধীদের একহাত নিয়ে বলেন, ‘‘নোট বাতিলের মাধ্যমে সরকার দেশকে কম নগদের অর্থনীতির দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। বিরোধীরা তাতে বাদ সাধছে। এতেই স্পষ্ট, কারা দেশে কম নগদের পক্ষপাতী, আর কারা বেশি নগদের পক্ষে সওয়াল করে উৎসব পালন করতে চাইছে।’’
মুখে ১৮টি দল একসঙ্গে থাকার দাবি করলেও কেন এক মঞ্চে এসে বিরোধীরা ঐক্যের ছবিটি দেখাতে পারল না?
গুলাম নবি আজাদের ব্যাখ্যা, সব দলের সঙ্গেই কথা হয়েছে। সংসদ না চললে সকলের পক্ষে দিল্লিতে আসা সম্ভব হয় না।
সীতারাম ইয়েচুরিও আজ পৃথক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, তাঁরাও ৮ নভেম্বর ‘কালো দিবস’ পালন করবেন। আগামিকাল বাম দলগুলির বৈঠক আছে এই নিয়ে। ৮ তারিখের পরে শ্রমিক সংগঠনগুলি আরও তিন দিন মহা-ঘেরাও অভিযান করবে। ডেরেক বলেন, সংসদের অধিবেশনের আগে বিরোধী দলগুলি ফের বৈঠকে বসে পরবর্তী কৌশল স্থির করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy