প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত
তিরটা ঘুরে গিয়েছে তাঁর দিকেই! তিন বছর আগে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী হাঁক দিয়েছিলেন, ডুবে মরো। দিল্লি আর লখনউ সরকার ডুবে মরো। যে সরকার শিশুদের মারছে, তাদের ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে এতগুলি শিশুর মৃত্যুর পরে ঠিক এই কথাগুলিই মোদীর দিকে ছুড়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা। মোদীর তিন বছর আগের ওই মন্তব্যের ভিডিও তুলে ধরেই কংগ্রেস জবাবদিহি চায় প্রধানমন্ত্রীর।
২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশে তখন অখিলেশ যাদবের সরকার। ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদী বলেছিলেন, ‘‘একটি বাচ্চা কোনও গর্তে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধারের জন্য সেনা, নেতা, টিভি ক্যামেরা পৌঁছে যায়। দেশের অনেক পরিবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। আর এখানে মস্তিষ্কের জ্বরে এক লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারে থেকেও না লখনউয়ের বাপ-বেটা (অখিলেশ ও তাঁর বাবা মুলায়ম সিংহ যাদব), না দিল্লিতে মা-বেটা (সনিয়া ও রাহুল গাঁধী) তাদের বাঁচাতে পারছে। এই দুই সরকারেরই ডুবে মরা উচিত।’’ সে সময়েই এক বছরের মধ্যে শিশুমৃত্যুর সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের ‘সহজ’ পথও বাতলে দিয়েছিলেন মোদী। জানিয়েছিলেন, বিশ্বের পাঁচ দেশে এ ধরনের রোগ হয়েছিল। এক বছরের মধ্যে সমাধান হয়েছে। আর কখনও ফিরে আসেনি। অশুদ্ধ পানীয় জল থেকে এই রোগ ছড়ায়। সেটি ঠিক করলেই রোগের সমাধান হয়।
কংগ্রেসের মতে, প্রধানমন্ত্রীর অন্য প্রতিশ্রুতিগুলির মতোই এটিও ফাঁপা আওয়াজ। মোদীর ওই দাওয়াইয়ের ভিডিও প্রচার করে তাদের প্রশ্ন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এক বছরে গোরক্ষপুরে শিশুমৃত্যু বন্ধ করে দেবেন। তিন বছর ক্ষমতায় থেকে কী করলেন তিনি? মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুরেরই সাংসদ। তবু কেন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না? উল্টে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহ হিসেব দিচ্ছেন, প্রতি বছর অগস্টে কত শিশুমৃত্যু হয়!’’
কী বলছে বিজেপি?
রক্ষণাত্মক ভাবে তারা শুধু বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকেও উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি থেকেও চিকিৎসকদের দল পাঠানো হয়েছে গোরক্ষপুরে। যোগী সরকার সবে ক্ষমতায় এসেছে। সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy