Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জেলার রিপোর্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার দুর্নীতি-তত্ত্ব

হাসপাতালে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ হয়, তা দেখার দায়িত্ব ছিলেন অ্যানাস্থেশিয়া ডিপার্টমেন্টের প্রধান সতীশ কুমার।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
গোরক্ষপুর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫১
Share: Save:

গোরক্ষপুরের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব চন্দ্রকান্ত মিশ্রের রিপোর্টে হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ নিয়ে দুষ্টচক্রের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। গোরক্ষপুরের জেলাপ্রশাসনের রিপোর্টেও উঠে এল সেই দুর্নীতির তত্ত্ব। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য বারবার দাবি করে এসেছে অক্সিজেনের অভাব নয়, এনসেফ্যালাইটিসেই মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। কিন্তু জেলা প্রশাসনের রিপোর্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসায় অস্বস্তি বাড়ল যোগী সরকারের।

বাবা রাঘব দাস (বিআরডি) হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিলেন গোরক্ষপুরের জেলাশাসক রাজীব রৌটেলা। সেই কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বিআরডি হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা এবং ভরার যে লগবুক রয়েছে, তা ঠিক মতো দেখভাল করা হতো না। সেই লগবুকে প্রচুর কাটাকাটি এবং ‘ওভার রাইটিং’ রয়েছে। রিপোর্টে অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা নিয়ে ‘আর্থিক অনিয়মের’ দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে।

হাসপাতালে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ হয়, তা দেখার দায়িত্ব ছিলেন অ্যানাস্থেশিয়া ডিপার্টমেন্টের প্রধান সতীশ কুমার। রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তালিকায় নাম রয়েছে চিফ ফার্মাসিস্ট গজানন জায়সবাল এবং মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ রাজীব মিশ্রেরও।

আরও পড়ুন: যোগীকে শিক্ষা দিতে চান মোদী

সম্প্রতি পাঁচ দিনে বিআরডি হাসপাতালে ৬০ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ৩০ জনের। অক্সিজেনের অভাবেই ওই ৩০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সাসপেন্ড করা হয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রাজীব মিশ্রকে। গত রবিবার হাসপাতাল ঘুরে এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল রিপোর্ট দিয়েছে, শিশুমৃত্যুর পিছনে অক্সিজেনের অভাব দায়ী নয়। তবে তবে হাসপাতালে যে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা পুষ্পা সেলসই দায়ী। বকেয়া টাকা না পেয়েই তারা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। জেলাশাসকের এই রিপোর্টের পরে ফের সামনে চলে এল সেই প্রশ্ন। অক্সিজেনের অভাবেই কি প্রাণ গেল ৩০টি শিশুর? তবে এই ব্যাপারে কমিটির রিপোর্টে কিছু বলা হয়নি। তবে তদন্ত কমিটির সদস্য রবীন্দ্র কুমার পিটিআই-কে জানিয়েছেন, অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যু হয়নি।

তবে হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দুর্নীতি চক্রের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। বিপর্যয়ের সময় সতীশ কুমার এবং রাজীব
মিশ্র কেন অনুপস্থিত ছিলেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, সতীশ কুমার এবং গজানন জায়সবাল অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার ‘রেকর্ড’ ঠিক মতো দেখভাল করতেন না। সতীশ কুমার ‘লগবুক’ ঠিক মতো পরীক্ষাও করতেন না এবং

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE