দিল্লির আদালত চত্বরে পি চিদম্বরম। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
ছেলে কার্তি চিদম্বরম কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছেন না। মোবাইলের পাসওয়ার্ড দিতেও রাজি হচ্ছেন না। তাতে না দমে, তাঁর বাবা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই।
দিল্লির বিশেষ আদালত কার্তিকে আজ আরও তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে। পি চিদম্বরম ও তাঁর স্ত্রী নলিনী এ দিন আদালতে এসেছিলেন। তামিলনাড়ু থেকে চিদম্বরমের সমর্থকেরাও আসেন। কার্তিকে ন’দিন হেফাজতে চেয়ে সিবিআই বলে, তিনি প্রমাণ লোপাট করেছেন। সাক্ষীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। সিবিআই থেকে ছাড়া পেলে তাঁকে যেন ইডি না গ্রেফতার করে, সেই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন কার্তি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রেফতারের আগেই এ ভাবে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য ইডি-র বক্তব্য জানতে চেয়েছে কোর্ট।
পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের আইএনএক্স মিডিয়াকে ঘুষের বিনিময়ে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কার্তির বিরুদ্ধে। সর্বোচ্চ আদালতে কার্তির পাল্টা অভিযোগ, ইডি তাঁর বাবার ভাবমূর্তিতে কালি ছেটাতে চাইছে। সিবিআই সূত্রের যুক্তি, ইডি-র পাঠানো ফাইলে তাঁরা দেখেছেন, চিদম্বরম অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন অন্তত ৮টি ক্ষেত্রে বেআইনি ভাবে বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের সচিবরাও বিষয়টি জানতেন না। কার্তির অ্যাকাউন্ট থেকে বাবার অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা গিয়েছিল বলেও প্রমাণ মিলেছে। তাই পি চিদম্বরমকে জেরা করা প্রয়োজন। কার্তির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ওই টাকা বাবা ছেলেকে বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ দিয়েছিলেন। ছেলে তা শোধ করেন।
কোর্টে সিবিআইয়ের অভিযোগ, কার্তিকে তাঁর নাম, কোম্পানির নাম জিজ্ঞাসা করা হলেও জবাব মিলছে, ‘‘আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।’’ কার্তির আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি, কার্তি সিবিআইয়ের পছন্দসই জবাব দিতে বাধ্য নন। পুলিশি হেফাজতে না রেখেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy