Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারতকে ফের বিঁধল পাকিস্তান

কুলভূষণ যাদবের ফাঁসি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। এ বার তাই অন্য দিক থেকে নয়াদিল্লিকে আক্রমণের চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কাজে লাগানোর জন্য হাতে পাওয়া পারমাণবিক সামগ্রী অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করছে ভারত।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০৩:৪২
Share: Save:

কুলভূষণ যাদবের ফাঁসি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। এ বার তাই অন্য দিক থেকে নয়াদিল্লিকে আক্রমণের চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ কাজে লাগানোর জন্য হাতে পাওয়া পারমাণবিক সামগ্রী অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করছে ভারত।

গত কালই পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাসিফ জাকারিয়া জানান, ভারতের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পাকিস্তানের এই উদ্বেগ নতুন কিছু নয়। প্রথমবার পাকিস্তান এ নিয়ে সুর চড়াল এমনটাও নয়। তার পরেও পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর (এনএসজি) সদস্যপদ পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। তাঁর অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির নাম করে ভারত যে পরমাণু জ্বালানি বা প্রযুক্তি আমদানি করে, তা আদতে ব্যবহার করা হয় পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে। ভারত যদি এ ভাবেই পারমাণবিক সামগ্রী সামরিক স্বার্থে ব্যবহার করতে যায়, তা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার ভূকৌশলগত পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলবে। এবং পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষাও বিঘ্নিত হবে। অতীতেও তাই হয়েছে। অথচ সেই সব আশঙ্কা উপেক্ষা করেই, ভারতের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বিশ্বের মধ্যে সবেচেয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

পাকিস্তান এও বলেছে, তাদের মৌখিক অভিযোগ যদি যথেষ্ট নাও হয়, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট রিপোর্ট রয়েছে তাদের হাতে। হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের উল্লেখ করে জাকারিয়ার বক্তব্য, নানাবিধ তথ্যপ্রমাণ বলছে বাইরে থেকে আমদানি করা যে পরিমাণ পারমাণবিক সামগ্রী ইতিমধ্যেই তাদের ভারতের সঞ্চয়ে রয়েছে তা যথেষ্ট বিপজ্জনক। তা দিয়ে চাইলে অন্তত ২৬০০ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে নয়াদিল্লি। পরমাণু জ্বালানি ও সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশগুলির জোটকেও (এনএসজি) এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলেছে ভারত। পাকিস্তানের বক্তব্য, ভারতকে আদৌ এনএসজি-র সদস্যপদ দেওয়াও উচিৎ কিনা তাও বিবেচনার বিষয়।

জাকারিয়ার দাবি, ভারতের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক নজরদারির অভাবও বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু বিশেষ়জ্ঞ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে একাধিক বার এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও টনক নড়েনি নয়াদিল্লির।

কাশ্মীর নিয়েও এ দিন ভারতকে দুষেছেন জাকারিয়া। তিনি জানান, সম্প্রতি কাশ্মীরে ঘাঁটি তৈরি করেছে সঙ্ঘ পরিবার (আরএসএস), যেগুলি সমলান অকাশ্মীরিরা। উপত্যকায় সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ হওয়ার সমালোচনা করে এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে সক্রিয় হতে বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও তার পারিপার্শ্বিক এলাকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরদারি সংস্থার সঙ্গেও সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে চলেছে পাকিস্তান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE