Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

পাকিস্তানে দিলীপকুমারের ভিটেকে ঐতিহ্যের তকমা

মুঘল-ই-আজমের মায়ায় এখনও মজে রয়েছে পাকিস্তান। আর সেই মুগ্ধতাকেই দু’দেশের মধ্যে আস্থাবর্ধনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে এ বার সক্রিয় হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, পেশোয়ারে দিলীপকুমারের পৈতৃক ভিটেটিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসাবে ঘোষণা করবে পাক সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:৪২
Share: Save:

মুঘল-ই-আজমের মায়ায় এখনও মজে রয়েছে পাকিস্তান। আর সেই মুগ্ধতাকেই দু’দেশের মধ্যে আস্থাবর্ধনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে এ বার সক্রিয় হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, পেশোয়ারে দিলীপকুমারের পৈতৃক ভিটেটিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী ভবন হিসাবে ঘোষণা করবে পাক সরকার।

১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পেশোয়ারের খাওয়ানি বাজার এলাকায় জন্মেছিলেন দিলীপকুমার। পাক সূত্রের খবর, মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়েই দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়, সাংস্কৃতিক ঐক্য বাড়িয়ে দৃষ্টান্ত গড়া হবে। তার প্রথম পদক্ষেপটি করলেন নওয়াজ। দিলীপকুমারের জনপ্রিয়তা এখনও পাকিস্তানে যথেষ্ট প্রবল। উর্দু ডাবিং-এ তাঁর অভিনীত অনেক ছবিই লাহৌর এবং ইসলামাবাদের বাজারে। গরম কচুরির মতো বিকোয়। ফলে তাঁকে সম্মান দেওয়ার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রককে দায়িত্ব দিয়েছেন, দিলীপকুমারের পৈতৃক বাড়িটিকে অধিগ্রহণ করে সেটিকে জাতীয় সংগ্রহশালায় পরিণত করার জন্য। পাক দূতাবাসের মুখপাত্র মনজুর আলি মেমন জানিয়েছেন, “ভারতের মতোই দিলীপকুমারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পাকিস্তান। গত মাসে মুম্বই সফরকালে হাইকমিশনার আব্দুল বশিত দিলীপকুমারের সঙ্গে দেখাও করেছেন।” বশিতের বক্তব্য, পাক প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে দ্বিপাক্ষিক শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, দিলীপকুমার এক জন কিংবদন্তী। এই উপমহাদেশের ছায়াছবির দুনিয়ায় তাঁর অবদান তুলনাহীন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে নওয়াজ শরিফ দেখা করেছিলেন বলিউডের আরও দুই কিংবদন্তী হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে। শত্রুঘ্ন সিন্হাও ফুল নিয়ে এসেছিলেন নওয়াজ সকাশে। কূটনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, ব্যাপারটি এমন নয় যে এই প্রথম দিলীপকুমারকে সম্মানিত করল পাকিস্তান সরকার। এর আগে ১৯৯৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে পাকিস্তানের সেরা সামরিক সম্মান নিশান-ই-ইমতিয়াজ দেওয়া হয়। সে সময় মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনা গোটা বিষয়টির কঠোর সমালোচনা করে দিলীপকুমারের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। পরে অবশ্য অটলবিহারী বাজেপেয়ীর হস্তক্ষেপে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

heritage pakistan dilip kumar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE