প্রতীকী ছবি।
ব্রিগেডিয়ার ও তাঁর স্ত্রী সেনা জওয়ান এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এমনই লেখা একটি প্রচারপত্রকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা সেনা ব্যারাকে।
সূত্রের খবর, খবরের কাগজের সঙ্গে ওই প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। সেনাকর্মীদের হাতে হাতে ওই প্রচারপত্র পৌঁছে যাওয়ার পরই বিষয়টা নিয়ে নড়েচড়ে বসেন সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা।
কে বা কারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেনা জওয়ানদের মনোবল ভেঙে দিতে এ ধরনের প্রচারপত্র ছড়াচ্ছে আইএসআই।
আরও পড়ুন: তালিকা থেকে জেতার অঙ্ক শুরু অমিতের
কী লেখা রয়েছে ওই প্রচারপত্রে?
ওই প্রচারপত্রে বলা হয়েছে, জওয়ানদের পরিবারের মহিলাদের তাঁর সামনে নাচতে বাধ্য করেন ব্রিগেডিয়ারের স্ত্রী। জওয়ানদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সুযোগ সুবিধাই দেন না ব্রিগেডিয়ার ও তাঁর স্ত্রী। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য জওয়ানদের গাড়ির সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা হয়। শুধু তাই নয়, ব্রিগেডিয়ারের বাড়িতে গেলে জওয়ানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছে ওই প্রচারপত্রে।
আর কী অভিযোগ রয়েছে ওই প্রচারপত্রে?
সেখানে আরও বলা হয়েছে, জাতপাত নিয়েও কটাক্ষ করেন ব্রিগেডিয়ার ও তাঁর স্ত্রী। যেমন, গুর্খাদের সামনে শিখ জওয়ানদের মজা ওড়ানো, আবার কখনও ঠিক তার উল্টোটা। সূত্রের খবর, প্রচারপত্রে এমন ভাবে লেখা হয়েছে যেন পড়ার পরই মনে হবে অভিযোগগুলো জওয়ানদের তরফ থেকেই উঠছে! এমনও বলা হয়েছে, যেখানে জওয়ানরা ঠিক মতো থাকার জায়গা পান না, সেখানে ব্রিগেডিয়ার ৬০ লক্ষ টাকার বিলাসবহুল সরকারি বাসভবনে থাকছেন!
আরও পড়ুন: তিহাড় জেলে জখম হিজবুল প্রধানের ছেলে
প্রচারপত্রটি ছড়িয়ে পড়ার পরই লোকজন সেনা আধিকারিকদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই প্রাথমিক তদন্তে নামে সেনা হেডকোয়ার্টার। মেল টুডে-কে সেনা সূত্র থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ধর্মশালার সেনা চৌকির দুই জওয়ানের কাজ। তবে পাক গুপ্তচর আইএসআই এজেন্টদের হাত থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না সেনা সূত্রে খবর। তবে এই খবরের যে কোনও সত্যতা নেই, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন সেই বার্তাই কিন্তু দিতে চেয়েছে সেনা।
সেই সঙ্গে এটাও জানানো হয়েছে, গোটা প্রচারপত্রে দুটো জিনিস ঠিক রয়েছে। এক, ব্রিগেডিয়ারের ছবি, এবং দুই, তাঁর নাম। সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, খুব সম্প্রতি এ রকম আরও একটি ভুয়ো চিঠি ঘুরে বেড়াচ্ছিল ডিরেক্টর জেনারেলের নামে। সেখানে জওয়াদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তদন্ত করে পরে দেখা যায়, জওয়ানদের মনোবলের উপর প্রভাব ফেলতে আইএসআই ওই ধরনের চিঠি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy