Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল ৩৮৯ কোটির বাঁধ!

বিহারের ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁওয়ে ওই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৪০ বছর ধরে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের কৃষকেরা এতে উপকৃত হবেন। বুধবার এই বাঁধ উদ্বেধনের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। অভিযোগ, অতিরিক্ত জলের চাপেই ভেঙে পড়েছে বাঁধটির একাংশ।

বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন কাহালগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন কাহালগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫:২৫
Share: Save:

ঘটা করে উদ্বোধন করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। সেই মতো প্রচারও হয়েছিল জোরকদমেই। কিন্তু উদ্বোধনের ঠিক আগেই অতিরিক্ত জলের চাপে ভেঙে পড়ল ভাগলপুরের বটেশ্বর পন্থ ক্যানাল প্রকল্পের একাংশ। গঙ্গার উপর এই বাঁধ নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৮৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: রাজ্যপাট কার? গৃহযুদ্ধে চাপে লালু

বিহারের ভাগলপুর জেলার কাহালগাঁওয়ে ওই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৪০ বছর ধরে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের কৃষকেরা এতে উপকৃত হবেন। বুধবার এই বাঁধ উদ্বেধনের কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। অভিযোগ, অতিরিক্ত জলের চাপেই ভেঙে পড়েছে বাঁধটির একাংশ। বাঁধ ভেঙে পড়ায় কাহালগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘটনার জেরে বাতিল করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। বিহারের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী লল্লন সিংহের কথায়, ‘‘পুরো মাত্রায় জল ছাড়ার কারণেই বাঁধটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকল্পটির নতুন তৈরি অংশের কোনও ক্ষতি হয়নি।’’

আরও পড়ুন: মহিলা বিলকে হাতিয়ার করতে চাইছেন মোদী

সরকারি সূত্রে খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই প্রকল্পে ভাগলপুরের প্রায় ১৮ হাজার ৬২০ হেক্টর এবং ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের কাজ সম্ভব হত। বাঁধ ভেঙে পড়ায় প্রভূত নিন্দা করেছেন লালু-তনয় তেজস্বী যাদব। টুইটারে তিনি লিখেছেন, সেচ দফতরের দুর্নীতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আরও একটি বাঁধ দুর্নীতির বলি হল। রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। এই ঘটনা তারই ফল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE