অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণী।
ঠিকানা বদলে যেতেই উধাও হলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। জায়গা পাননি প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও।
অশোক রোডে বিজেপির পুরনো দফতরে মূল প্রেক্ষাগৃহ তথা অডিটোরিয়ামে জ্বলজ্বল করত অটলবিহারী বাজপেয়ীর ছবি। দু’পাশে থাকত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবিও। বাজপেয়ী অসুস্থ হওয়ার পর লালকৃষ্ণ আডবাণীদের উদ্যোগেই এই ছবি বসানো হয়েছিল। তারপর দলের অনেক সভাপতি বদল হলেও সেই ছবি সরানোর ঝুঁকি নেননি কেউ। কিন্তু বিজেপির নতুন দফতরের অডিটরিয়ামে বাজপেয়ী ও আডবাণীর ছবিই নেই। শ্যামাপ্রসাদ, দীনদয়ালের পাশে বড় করে ছবি নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের।
ঝাঁ চকচকে নতুন ভবনে এই অডিটোরিয়ামেই সাংবাদিক বৈঠকগুলি হচ্ছে। গোটা দেশে দলের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই হল থেকে। আর নতুন ঠিকানায় নিঃশব্দ বদল ঘটে গেল ছবিতে। স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হল, বিজেপির ক্ষমতার কেন্দ্রে আসলে কারা। ত্রিপুরা জয়ের পরে এই নতুন ভবনেই বিজয় উৎসবে মোদী জয়ের ‘শিল্পী’ হিসেবে অমিত শাহের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। আর অমিত শাহ তারিফ করেছেন মোদীর। সামনে রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গডকড়ীর মতো শীর্ষ নেতারা বসে থাকলেও তাঁদের নাম মুখেও আনেননি।
বিজেপির অনেকে অবশ্য ঘরোয়া মহলে বলাবলি করছেন, এতে আশ্চর্যের কী? ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী-শাহ জুটি আডবাণী-জোশীর মতো নেতাদের ব্রাত্য করে দিয়েছে। দীনদয়াল, শ্যামাপ্রসাদরা আছেন, কিন্তু আশির দশক থেকে দলের উত্থানের কান্ডারি যাঁরা, তাঁদেরও সরানো হল? আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির অবশ্য মত, কাউকেই ব্রাত্য করা হয়নি। নতুন ভবনেই সব নেতার ছবি সম্মানের সঙ্গে আছে। এ পর্যন্ত সব সভাপতির ছবিও আছে। শুধু অডিটোরিয়ামে নেই বলে তার অন্য কোনও অর্থ খোঁজার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy