বিজ্ঞাপনের অংশ।
পিয়ার্স ব্রসনন নাকি জানতেনই না যে পান মশালায় তামাক থাকে! এমনকী পান মশলা চিবানোর অভ্যেস ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ, সে কথাও নাকি ‘জেমস বন্ড’-এর জানা ছিল না।
পান বাহারের বিজ্ঞাপনে তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। এর পরেই টনক নড়েছে অন্যতম জেমস বন্ড অভিনেতার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন জনগণের কাছে। এবং দাবি করেছেন, ‘পান বাহার’ এনডোর্সমেন্টের সময় তাঁর কাছে এই তামাকজাত পণ্যের ব্যাপারটা স্রেফ চেপে গিয়েছিল। জানিয়েছিল, এটা নাকি আদতে এক দাঁত সাফ করার মশলা।
তাঁর আরও দাবি, সত্যিটা আবিষ্কার করার পর তিনি ভীষণ ‘স্তম্ভিত’। ব্রসনন বলেন, ‘‘যদি ঘুণাক্ষরেও ব্যাপারটা জানতাম, তা হলে ভারতের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে এমন পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে রাজি হতাম না।’’ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ব্রসনন আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘আমায় বলা হয়েছিল ওটা আদতে ব্রেথ ফ্রেশনার। দাঁত সাদা রাখার মশলা। পান বাহারে যে তামাক, সুপারি বা ওই জাতীয় কোনও ক্ষতিকর উপাদান আছে, তা আমায় জানানো হয়নি।’’
আপাতত সংস্থার সঙ্গে সব রকম চুক্তি বাতিল করে দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এই হলিউড তারকা। এ ব্যাপারে তিনি আইন মেনে এগোবেন বলেও জানাতে ভোলেননি।
পান বাহার-এর তরফে অবশ্য পাল্টা দাবি করা হয়েছে, ব্রসনন যে বিশেষ মশলাটির বিজ্ঞাপন করেছেন তার মধ্যে তামাক, সুপারি কিছুই নেই। ওটা স্বাস্থ্যসম্মত এক মুখশুদ্ধি। তাই এনডোর্সমেন্টের সময় তামাক বা সুপারির কথা উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়েনি। যদিও এই কথায় খুব একটা সন্তুষ্ট নন নায়ক। জানিয়েছেন, ওই মশলায় নাই বা থাকল, সংস্থার কোনও না কোনও মশলায় তো তামাক, সুপারি থাকবেই। অতএব, পান বাহারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার দিকেই যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কীভাবে ফাঁদে ফেলে ‘হানিট্র্যাপ’?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy