প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। -ফাইল চিত্র।
খুন থেকে ধর্ষণ, ডারউইনের তত্ত্ব থেকে মহাভারত, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গত ৬ মাসে দলীয় নেতাদের একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে বিজেপি হাইকমান্ড যখন রীতিমতো অস্বস্তিতে, তখন দলীয় নেতৃত্বের একটি অংশকে বাচালতা বন্ধ করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখলেই যেন বিজেপি নেতাদের একাংশ মুখে যা আসছে, সেটাই না বলে বসেন। কথা বলার আগে কী বলছেন, কেন বলছেন, কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে তা বলছেন, তা যেন মাথায় রাখেন বিজেপি নেতারা।
এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’।
রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের জনপ্রতিনিধিদের এই পরামর্শই দিয়েছেন মোদী।
বলেছেন, ‘‘আমরা ভুল করেই চলেছি। সংবাদ মাধ্যমকে মুখরোচক ‘মশলা’ খবর করার সুযোগ করে দিচ্ছি। আমরা এত বড় সমাজ বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞ হয়ে গিয়েছি যে, আমরা যে কোনও ইস্যু নিয়েই মুখ খুলে ফেলি। বিশেষজ্ঞের মতামত দিয়ে বসি। যেই না আমরা সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখি, অমনি মুখ খুলে ফেলি। কী বলছি, তা নিয়ে একটুও ভাবি না!’’
আরও পড়ুন- চিনে যেতে আগ্রহী মোদী, দৌত্যে মন্ত্রী সুষমা
আরও পড়ুন- চেনা নীরবতা, মোদীকে পত্রবোমা চমস্কিদের
এ দিনই বিজেপি হাইকমান্ডকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে খুন, ধর্ষণের উপর্যুপরি ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ-প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের মন্তব্যে। গাঙ্গোয়ার বলেছেন, ‘‘এমন দু’-একটি ঘটনাকে এত বড় করে দেখানো উচিত নয়।’’
কাঠুয়ায় ৮ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার অভিযুক্তদের আড়াল করার দায় নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেও বিজেপি-র দুই প্রাক্তন মন্ত্রী ওই ঘটনায় একটা দেশ কী ভাবে দু’টুকরো হয়ে গেল, তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন!
এখানেই শেষ নয়। গত মাসে বিহারের আরারিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি জয়লাভ করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছিলেন, ওই জেলা খুব শীঘ্রই ‘সন্ত্রাসের রাজধানী’ হয়ে উঠবে।
এ মাসের গোড়ার দিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, ‘‘মহাভারতের যুগেও ভারতে ইন্টারনেট ছিল।’’ জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিংহ বলেছিলেন, ‘‘ডারউইনের তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক ভাবে সত্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy