১৫ অগস্ট প্রকল্প ঘোষণায় মোদী।
সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনার সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনার আওতায় যাঁরা নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তাঁদের একটি করে ডেবিট কার্ড এবং এক লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমার সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ছ’মাস সন্তোষজনক ভাবে অ্যাকাউন্ট চালাতে পারলে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে স্বল্প মেয়াদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ঋণও নেওয়া যাবে। এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত, যাঁরা আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, তাঁদেরও এই সব সুবিধা দেওয়া হবে। এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনও সময় সীমা বেঁধে গেওয়া হয়নি। শুধু যাঁর নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, তাঁকে ব্যাঙ্কের শাখায় আবেদন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশের প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে চাইছে। যাঁরা কোনও দিন তা খোলার কথা ভাবেননি, তাঁরাও যাতে ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে উৎসাহিত হন, তার জন্যও অ্যাকাউন্ট খোলার সঙ্গে নানা রকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ডেবিট কার্ড, দুর্ঘটনা বিমা, ঋণ নেওয়ার সুবিধা হল সেই সুবিধারই অঙ্গ। অর্থ মন্ত্রকের তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, একটি পরিবারে মাত্র একজনকেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে স্বল্প মেয়াদে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুবিধা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে পরিবারের মহিলাদেরই এ বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা না-থাকলেও ৫০০০ টাকা পর্যন্ত তোলা যাবে। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা শোধ করে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, যাঁরা আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারির আগে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তাঁদের এক লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমার পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকার জীবন বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। কী ভাবে তা দেওয়া হবে, তার বিধি-নিয়ম ঠিক হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনার আওতায় দেশের ৬ লক্ষ গ্রামকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক থেকে দেড় হাজার বাড়ির জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে ব্যাঙ্কের পরিষেবা দেওয়ার সুবিধা হবে। সেটি ব্যাঙ্কের শাখা হতে পারে অথবা ব্যাঙ্ক নিজস্ব প্রতিনিধি বা ‘ব্যাঙ্ক-মিত্র’ নিয়োগ করতে পারে।
তবে সকলের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সোমবারই ব্যাঙ্কগুলিকে সাবধানবাণী শুনিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। তাঁর বক্তব্য, সকলের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার তাগিদে ব্যাঙ্কগুলি মাঠে নেমে একই ব্যক্তির জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলতে পারে। যদি সব জায়গায় সমান ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা না-হয়, তা হলেও কোনও লাভ হবে না। পাশাপাশি, যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খোলার পরে সেখানে আর লেনদেন না-হয়, সেগুলি অচল হয়ে পড়ে থাকে, তা হলেও কোনও লাভ হবে না। এবং ব্যাঙ্ককেই সে দিকে নজর দিতে হবে। রাজনের যুক্তি, “যাঁরা প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তাঁরা প্রথম বার এই ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার মধ্যে ঢুকছেন। তাই যদি প্রথম বারে প্রকল্পের প্রভাব ভাল না হয়, তাঁরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরেই থেকে যাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy