Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

রায়গড়ের জঙ্গলে পাওয়া গেল শিনার হাড়গোড়!

রায়গড়ের জঙ্গলে মিলল শিনার হাড়গোড়! ঠিক সেই জায়গা থেকেই যেখানে খুনের পর তাঁকে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে জঙ্গল থেকে পাওয়া দেহাংশ আদৌ শিনার কি না তা এখনই নিশ্চিত হতে পাচ্ছে না পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ১১:৪০
Share: Save:

রায়গড়ের জঙ্গলে মিলল শিনার হাড়গোড়! ঠিক সেই জায়গা থেকেই যেখানে খুনের পর তাঁকে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে জঙ্গল থেকে পাওয়া দেহাংশ আদৌ শিনার কি না তা এখনই নিশ্চিত হতে পাচ্ছে না পুলিশ।

খুনের পরে শিনার দেহ পুঁতে দেওয়ার হয়েছিল রায়গড়ে জঙ্গলে। মাস খানেক পরে রায়গড় পুলিশ জঙ্গল থেকে একটি দেহ উদ্ধারও করে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতিতে রায়গড় পুলিশের কাছ থেকে কোনও সাহায্যই পায়নি মুম্বই পুলিশ। পাওয়া যায়নি উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের ডিএনএ-র রিপোর্ট। যার জেরে বছর তিনেক আগে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি শিনার কি না তা জানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। শিনা খুনে ধৃতদের বয়ানের সত্যতা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। এই টানাপড়েনের মধ্যেই শুক্রবার রায়গড় রওনা দেয় মুম্বই পুলিশের একটি দল। ধৃতদের বয়ানের সূত্র ধরে জঙ্গলের নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই উদ্ধার হয় কতগুলি হাড়গোড়। তা পরীক্ষা করার পরই অবশ্য সেগুলি শিনার কি না নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ।

ইতিমধ্যে ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য জেনেছে পুলিশ। হঠাৎ করে নয়, ধাপে ধাপে মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল ইন্দ্রাণীরা। খুনের আগের দিন চালককে নিয়ে রায়গড়ের ওই জঙ্গল রেকি করতে গিয়েছিল মা ইন্দ্রাণী। পরিকল্পনা ছিল সেখানেই শিনার দেহ পুঁতে দেওয়া হবে। জায়গা নিশ্চিত করেই প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীবকে ফোন করে মুম্বই ডেকে নেয় সে। ২৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের একটি হোটেলে পৌঁছয় সঞ্জীব। এর পর শিনাকে ফোন করে ডেকে খুন করা হয় বলে পুলিশের কাছে জেরায় জানিয়েছে ধৃতেরা।

এ দিনই, রায়গড় থানা থেকে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে জানানো হয়, ২০১২ সালে দেহটি উদ্ধারের পর বেশ কিছু নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছিল তারা। কী সেই নমুনা? একটি গোলাপি কাপড়ের টুকরো, একটি ভাঙা দাঁত এবং ডান কাঁধের হাড় ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। রায়গড় পুলিশের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে তা-র খোঁজ করতে শুরু করেছে ফরেন্সিক ল্যাবেরটরির কর্তারা। পুরনো এবং উদ্ধার হওয়া নমুনা পাশাপাশি রেখে পরীক্ষা করতে চান তদন্তকারীরা।

এ দিকে শিনা বোরা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্নাকে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে ৩১ তারিখ পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সূত্রের খবর, রহস্যের কিনারা করতে ইন্দ্রাণী, সঞ্জীব এবং ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। সকালে মুম্বই পৌঁছেছেন শিনার ভাই মিখাইল বোরাও। তাঁকেও এ দিন জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

অন্য দিকে, শিনা খুন হওয়ার এক সপ্তাহ পরে তাঁর অফিসে পদত্যাগ পত্র পাঠানো ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে বলে পুলিশ দাবি করল। ওই ব্যক্তিই ফ্ল্যাট ছাড়তে চেয়ে মালিককে শিনার নাম করে একটি মেলও পাঠিয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE