প্রতীকী ছবি।
মাস পাঁচেকের শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া খুবই প্রয়োজন। সাহায্য করতে এগিয়ে এল অসম সরকার। রাস্তায় ট্রাফিকের সব আলো সবুজ করে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিল পুলিশ। একরত্তি শিশুর অ্যাম্বুল্যান্স ‘এসকর্ট’ করলেন খোদ গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার হীরেণ নাথ। সঙ্গে ছিলেন ডিসি (ট্রাফিক) আমনজিৎ কৌর। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের অনুরোধে একই ভাবে ‘গ্রিন করিডর’ গড়ে নয়াদিল্লি বিমানবন্দর থেকে স্নিগ্ধরাগকে গঙ্গারাম হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
হীরেণবাবু জানান, বিশ্বনাথ জেলার চতিয়ার বাসিন্দা হিমাংশু ভুঁইয়া ও মৃদুস্মিতা শইকিয়ার ছেলে স্নিগ্ধরাগ তিন মাস ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছে। ১৫ দিন আগে তাকে গুয়াহাটির একটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে দ্রুত দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সে জন্য দরকার ছিল এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের। ছেলের চিকিৎসার খরচে কার্যত নিঃস্ব পরিবারের কাছে অত টাকা ছিল না। কোনও ভাবে সেই খবর পান সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি জানান, স্নিগ্ধরাগের চিকিৎসার ভার নেবে অসম সরকার।
গুয়াহাটির পাথরকুঁয়রি থেকে বরঝাড়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তায় ‘গ্রিন করিডর’ গড়তে পুলিশ কমিশনার ও ডিসি (ট্রাফিক) আমনজিৎ কৌরকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সকাল সওয়া ১০টায় হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করে পুলিশ। সাধারণ মানুষও পুলিশকে সাহায্য করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy