Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পাসপোর্ট করাতে ঘুষের অভিজ্ঞতা নেতা-মন্ত্রীদেরও

পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ঘুষ দেওয়ার অভিজ্ঞতা সাধারণ মানুষদের প্রায় সকলেরই কমবেশি। একই সঙ্গে আছে হয়রানি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭ ০৩:১৭
Share: Save:

পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ঘুষ দেওয়ার অভিজ্ঞতা সাধারণ মানুষদের প্রায় সকলেরই কমবেশি। একই সঙ্গে আছে হয়রানি। শিলচরে আজ ‘পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র’ (পিওপিএসকে)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অসম বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ পাল শোনান এমনই এক গল্প।

তখনও তিনি কেউকেটা হয়ে ওঠেননি। তাঁর কথায়, ২০০৭ সালের কথা। জরুরি প্রয়োজনে স্ত্রী অর্চনা পালকে বাংলাদেশে যেতে হয়েছিল। তৎকাল ভিত্তিতে পাসপোর্টের আবেদন করা হয়। কিন্তু জেলাশাসকের অফিস থেকে ফাইল নড়ছিল না। পরে দেড় হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে ফাইল নড়াতে হয়। মন্ত্রী হওয়ার পর পাসপোর্ট করিয়েছেন পরিমল শুক্লবৈদ্য। তাই তাঁকে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়নি। তবে এমন অজস্র ঘটনা তাঁরও জানা। গুয়াহাটি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দেখেছেন সাধারণের হয়রানিও। মঞ্চে যখন মন্ত্রী-বিধায়করা পাসপোর্ট-যন্ত্রণার নানা কথা বলছিলেন, তখন দর্শকদের মধ্যেও এ নিয়ে শুরু হয়ে যায় আলোচনা। সকলেই একে অপরের সঙ্গে ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা’ বিনিময় করছিলেন।

অস্বস্তিকর পরিবেশ বুঝে কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন দাবি করেন, সে সব দিন নাকি এখন আর নেই। তাঁর কার্যালয়ে এখন এক স্লোগান, ‘দেবও না, নেবও না।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই স্লোগানকে সামনে রেখে তাঁরা দুর্নীতিবিরোধী প্রচারে ঝাঁপাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিদেশ মন্ত্রক এই বছরে দেশের ৫৬টি ডাকঘরে পিওপিএসকে চালু করছে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্বের শিলচর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bribery Political Leader
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE