প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।— ফাইল চিত্র।
সংসদে বিশেষ অধিবেশনে সূচনার দিন জিএসটিকে ‘গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। আর সোমবার আরও এক কদম এগিয়ে জিএসটিকে দেশের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন তিনি জিএসটিকে ‘গ্রোয়িং স্টংগার টুগেদার’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেন। এই নতুন কর নীতি দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ দিন থেকেই সংসদে শুরু হল বাদল অধিবেশন। দেশের নানা প্রান্তে গো-রক্ষার নামে তাণ্ডব থেকে শুরু করে জিএসটি, চিন-বির্তকের মতো একাধিক ইস্যুতে সংসদ উত্তাল করতে প্রায় এককাট্টা বিরোধী জোট। সে বার্তা টের পেয়েই হয়তো অধিবেশনের শুরুতে জিএসটি নিয়ে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সব রাজনৈতিক দল যখন দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, তখনই জিএসটি-র মতো বিষয়ে পদক্ষেপ করা হয়। জিএসটি হল গ্রোয়িং স্টংগার টুগেদার।’’ পাশাপাশি, জিএসটি সূচনার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে ফের এ দিন শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই বাদল অধিবেশনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে তা সুষ্ঠভাবে চালনার জন্য সাংসদদের কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এ অধিবেশন দেশের জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কারণ এই অধিবেশনেই দেশ নতুন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি পাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: গোরক্ষক সামলাক রাজ্য, নিদান মোদীর
আগামী ১১ অগস্ট পর্যন্ত চলবে সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধী দলগুলি গবাদি পশু কেনা-বেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে সরকারের কাছ থেকে জবাব চাইতে পারে। কৃষকদের সমস্যা, পাকিস্তান নীতি নিয়েও সরব হতে পারে তারা। প্রধানমন্ত্রীর ইজরায়েল সফর, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভয়াবহ বন্যা, দার্জিলিঙের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, নোট বাতিলের প্রভাব, কর্মসংস্থান হ্রাস এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিপিআই নেতা ডি রাজা জানান, গোরক্ষকদের আইন হাতে তুলে নেওয়া এবং গণপিটুনি রুখতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটা তাঁরা জানতে চাইবেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি পাল্টা বলেছেন, ‘‘বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সংসদের বাদল অধিবেশন ভাল ভাবে চালাতে চাইছি। বিরোধীরা সাম্প্রতিক কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা চাইলে আলোচনা হবে।’’
এ বারের অধিবেশনে তথ্যপ্রযুক্তি, সম্পত্তি অধিগ্রহণ, শিশুদের অবৈতনিক শিক্ষার অধিকার, মোটর ভেহিকলস-সহ বেশ কয়েকটি বিল পাশ করানোই সরকারের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy