পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকা এক পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিল্লি সংলগ্ন হরিয়ানার সোনীপতের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল-সহ ওই ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে আরও দুই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার রাত থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোনীপতের গোহানা শহরের কাছে একটি বাড়িতে তাঁর ১৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই কিশোরীর বাবা। মঙ্গলবার ছাত্রীটির দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, প্রিন্সিপালের প্রস্তাব মতো তাঁকে ১০ হাজার টাকা ঘুষও দিতে রাজি ছিলেন ওই ছাত্রীর বাবা।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “গত ৮ মার্চ আমাকে ফোন করেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। গোহানার কাছেই একটি স্কুলে আমাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। মেয়েকে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষও চান। তা দিতেও রাজি ছিলাম। পরীক্ষার দিন আমার মেয়েকে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে যেতে বলেন প্রিন্সিপাল। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, আমার মেয়ের বদলে তার হয়ে অন্য কেউ শারীরবিদ্যার পরীক্ষা দেবে।”
আরও পড়ুন
ওঁদের রান্নাঘরের তাকে থাকে কিকপ্যাড
প্রিন্সিপালের কথা মতো মঙ্গলবার ওই বাড়িতে মেয়েকে রেখে আসেন ছাত্রীর বাবা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সেখানে যান তিনি। সে সময় বাবার কাছে ওই কিশোরী অভিযোগ করে, তাকে ধর্ষণ করেছেন প্রিন্সিপাল। এতে মদত রয়েছে ওই বাড়ির দুই মহিলারও। অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সময়ই সেখান থেকে চম্পট দেয় প্রিন্সিপাল-সহ দুই মহিলা।
আরও পড়ুন
৪১ লক্ষ সেভিংস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে এসবিআই!
এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীর বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে কেন তিনি ওই বাড়িতে মেয়েকে রেখে দিতে রাজি হলেন তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কিশোরীর বাবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy