ভিডিও পর্দায় ঝাড়খণ্ডের গুমলার এসপি-র মুখ ততক্ষণে শুকিয়ে কাঠ!
রাঁচীতে বসে তাঁর দিকে তোপ দাগছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ছেন রঘুবর দাস— ‘কী ভাবে আইপিএস হলেন আপনি? বালিকার অপহরণ-কাণ্ডে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন? লজ্জা করছে না? উর্দির সম্মান রাখার চেষ্টা করুন!
‘স্যর, স্যর’ বলে ওই পুলিশকর্তা তাঁকে কিছু বলার চেষ্টা করতেই তেলেবেগুনে চটলেন মুখ্যমন্ত্রী— ‘‘চোপ, তখন থেকে কী স্যর স্যর করছেন। নিজের কাজ ঠিক করে করুন আগে।’’ সূচনা ভবনের সেই সম্মেলন কক্ষে তখন পিন পড়লেও যেন শব্দ হবে! আজ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বসেছিলেন রঘুবর। ছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে হরেক অভিযোগ নিয়ে আসা কিছু আমআদমি।
গুমলার চৈনপুরে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের গড়িমসির কথা শুনে থমথমে হয়ে যায় রঘুবরের মুখ। বালিকার পরিজন নালিশ জানান, ২ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটলেও অভিযুক্ত আনোয়ার খান এখনও অধরা। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই আনোয়ারের বিরুদ্ধে আরও এক বালিকাকে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে।
অভিযুক্ত কী করে এত দিন পুলিশের নাগালের বাইরে রয়েছে, গুমলার এসপির কাছে তার জবাব চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এসপি চন্দন ঝা বলেন, ‘‘মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যাচ্ছে, সে এখন দিল্লিতে রয়েছে। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার অপেক্ষা করছি।’’ এরপরই ক্রুদ্ধ রঘুবরের চোখরাঙানিতে থমকে যান সরকারি ওই অফিসার।
বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী হুশিয়ারি দেন, ‘‘কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করবো না।’’ তার প্রমাণও মিলল হাতেনাতে। এ দিন সন্ধেয় সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে গুমলার এসপি-কে সরিয়ে দেওয়া হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy