যোগের ‘গুঁতোয়’ ধরাশায়ী ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী!
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ব্যায়ামের ঠেলায় গলদঘর্ম রঘুবর দাস সময় কাটালেন শুয়ে-বসেই। তাঁকে দেখে রাজ্যের অনেক মন্ত্রী, আমলা একই পথ ধরলেন।
রাঁচীর মোরাবাদী ময়দানে মঞ্চ থেকে পত্রাসন, বক্রাসন, সলভাসন, ভুজঙ্গাসন করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন যোগগুরু পঞ্চানন্দ সিংহ। ব্যায়ামে অনভ্যস্ত মন্ত্রী, আমলাদের তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। টলমল পায়ে তাঁদের যোগাসন করতে দেখে ফিসফিসিয়ে হাসি ছড়িয়ে পড়ল ময়দানে।
লোক হাসিয়ে লাভ নেই— অনেকটা সেই মেজাজে ব্যায়াম বন্ধ করে চোখ বুজে চুপচাপ বসে পড়লেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। সে দিকে নজর পড়েছিল রঘুবরের। উপুড় হয়ে শুয়ে গালে হাত রেখে অন্যদের কসরত দেখতে থাকলেন মুখ্যমন্ত্রীও।
সকাল সকাল এমন কড়া যোগগুরুর খপ্পরে পড়বেন— তা ভাবেননি কেউ-ই। ব্যয়াম শুরুর আগে ‘জায়ান্ট স্ক্রিনে’ লখনউ থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনে অনেকটা উজ্জীবিত ছিলেন রঘুবর। তিনি বলেন, ‘‘আসুন সবাই একসঙ্গে যোগব্যায়াম করি।’’
মোরাবাদী ময়দানে সে সময় হাজির হাজার দশেক মানুষ। মঞ্চে যোগগুরু পঞ্চানন্দ সিংহ। তিনি ছিলেন ঝাড়়খণ্ডের প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। ডিএসপি পদে অবসরের পর হয়েছেন যোগগুরু।
কয়েকটা সহজ আসনের পরই কঠিন ব্যায়ামের দিকে ঝুঁকলেন পঞ্চানন্দ। টলমল পায়ে তা করার চেষ্টা করছিলেন মন্ত্রী, আমলারা। প্রথম দিকে ঠোঁটের কোণে হাসিও লেগেছিল সবার। ছবিটা বদলাল কয়েক মিনিটেই। নিচু গলায় কথা ভাসল তাঁদের ভিড়ে— ‘ওরে বাবা, আর কতক্ষণ। অনেক ব্যয়াম করেছি। এ বার থামলে বাঁচি!’’
সে সব অবশ্য কানে পৌঁছয়নি পঞ্চানন্দের। ঘণ্টাখানেক ধরে প্রশিক্ষণ চলল তাঁর। ব্যয়াম করতে হাজির এক নগরবাসী ঠাট্টার সুরে বলেই ফেললেন, ‘‘মন্ত্রীদের উপর নিশ্চয়ই কোনও রাগ ছিল যোগগুরু পুলিশ অফিসারের!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy