রাহুল গাঁধী।— ফাইল ছবি।
সালটা ২০১৩। সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ। দিল্লি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করছেন কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন। আচমকাই ফোন এল রাহুল গাঁধীর। ‘‘আমি আসছি।’’ রাহুল এলেন, এবং বললেন, সাজাপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের পদে রাখার ব্যাপারে যে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র, সেটা একেবারে ফালতু। ওটা এখুনি ছিঁড়ে ফেলা উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ছিল, কোনও মামলায় দু’বছরের বেশি সাজা পেলে বিধায়ক বা সাংসদের সদস্যপদ তখনই খারিজ হয়ে যাবে। শুধু তা-ই নয়, সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ছ’বছর আর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না তাঁরা।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির একটি মামলায় তখন শাস্তি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে। তিনি দরবার করেন সনিয়া গাঁধীর কাছে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করা ঠেকাতে অর্ডিন্যান্স জারি করে মনমোহন সিংহের সরকার।
রাহুলের সে দিনের মন্তব্যে শোরগোল পড়েছিল বিস্তর। কংগ্রেস সহসভাপতি নিজের দুর্নীতি-বিরোধী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইলেও মনমোহনের বক্তব্য ছিল, এ নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হয়েছিল। আর তার চেয়েও বড় কথা, রাহুল যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বিদেশে। সে দিনই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। অভিযোগ ওঠে, এমন পরিস্থিতিতে অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলার কথা বলে তাঁর সম্মানহানি করেছেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy