Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ছেলে এখনও ছুটিতেই, মাঠ সামলাচ্ছেন মা

মোদী সরকারের জমি নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মা। ছেলে কিন্তু অজ্ঞাতবাসেই। এ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা যখন উপচে পড়েছে, তখন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড জানিয়ে দিল, সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি হিসেবে রাহুল গাঁধী নির্বাচিত হতে ৬ মাসের বেশি দেরি হবে না। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ২১ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন করে তাঁকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৩
Share: Save:

মোদী সরকারের জমি নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মা। ছেলে কিন্তু অজ্ঞাতবাসেই। এ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা যখন উপচে পড়েছে, তখন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড জানিয়ে দিল, সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি হিসেবে রাহুল গাঁধী নির্বাচিত হতে ৬ মাসের বেশি দেরি হবে না। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ২১ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন করে তাঁকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হবে।

তবে দলীয় সূত্র এ-ও বলছে, ওই নির্বাচনের আগেই দলের প্লেনারি অধিবেশন থেকে রাহুলের অভিষেকের ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন হবে প্রথা পূরণের জন্য। ঠিক যেমন দলীয় সভানেত্রী পদে অভিষেকের সময় হয়েছিল।

এপ্রিলে কংগ্রেসের মহা অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দশ নম্বর জনপথ সূত্রের খবর, এপ্রিলে প্লেনারি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তা গড়াতে পারে জুলাইয়ে। কেন না সনিয়া মনে করছেন, প্লেনারির আগে রাজনৈতিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করা জরুরি। তবে এ সব সাংগঠনিক খুঁটিনাটি সরিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে এখন বড় কৌতূহল, রাহুল ছুটি কাটিয়ে ফিরবেন কবে? নাকি সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেই তিনি ছুটি নিয়ে নিলেন! ফের সনিয়া কংগ্রেসের হাল ধরবেন কি না! বিশেষ করে এখন সনিয়া যে ভাবে সক্রিয় হয়েছেন, তাতে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে। আবার বিরোধীরা রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়েও কটাক্ষ করছেন। এমনকী, কংগ্রেস সহ-সভাপতির নির্বাচন কেন্দ্র অমেঠীতেও নিরুদ্দেশ সম্পর্কিত ঘোষণার পোস্টার পড়েছে।

রাজনীতির মাঠ ছেড়ে এ ভাবে এক মাসেরও বেশি ছুটি নেওয়া নিয়ে গাঁধী পরিবারের অনুগামী নেতারাও যে আড়ালে আক্ষেপ করছেন না, তা নয়। অনেকের এ-ও মত, এটা বোকামি। এই বার্তা আরও দৃঢ় হচ্ছে যে রাহুলকে দিয়ে ‘হবে না’। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, মা-ছেলে পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছেন। লোকসভা ভোট ও তার আগে পরে দশটি নির্বাচনে কংগ্রেস হেরেছে। তার পর এই সমালোচনাও হয়েছে যে, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গাঁধী পরিবারের মহিমার আর কী অস্তিত্ব রইল! ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্যের কথায়, সনিয়ার কাছেও স্পষ্ট, সেই বাতাবরণ কাটানো রাহুলের পক্ষে সম্ভব নয়। সেই পরিবেশে রাহুলের অভিষেকও ঠিক হবে না। তাই সরকারের জমি ও ‘কৃষক বিরোধী’ নীতির সমালোচনা করে সনিয়া পথে নেমেছেন। তিনি তথা গাঁধী পরিবার মাঠে নামলে এখনও যে সাড়া পড়ে, সেই বার্তা দিতে চাইছেন সনিয়া। এ-ও ঠিক যে সনিয়ার নেতৃত্বে যে ভাবে বিরোধী নেতা-সাংসদরা সংসদ ভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করেছেন, তা রাহুল থাকলে হত না। কারণ, তৃণমূল, সপা, বামেরা রাহুলের নেতৃত্ব মানতেন না। আবার সনিয়ার পাশে রাহুল সে দিন থাকলে হয় তো পার্শ্ব চরিত্র হয়ে থেকে যেতেন।

তাই সনিয়া আগেই মাঠে নেমেছেন। কংগ্রেস সূত্র বলছে, এ সপ্তাহে পঞ্জাব সফরেও যাবেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সূত্র বলছে, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ দিল্লিতে কৃষক সভার আয়োজন হয়েছে। অজ্ঞাতবাস থেকে ফিরে হয়তো সেই মঞ্চেই আত্মপ্রকাশ করবেন রাহুল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE