Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দলিত আইন নিয়ে আক্রমণে কংগ্রেস

আদালতে সেটিকে লঘু করতে বলে এখন বিপদে পড়েছে মোদী সরকার। সেই সুযোগেই নরেন্দ্র মোদীকে ফের ‘দলিত-বিরোধী’ বলে  আক্রমণ শুরু করলেন রাহুল গাঁধী। 

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৪
Share: Save:

আইন করে দলিতদের হাতে অধিকার তুলে দিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী। আদালতে সেটিকে লঘু করতে বলে এখন বিপদে পড়েছে মোদী সরকার। সেই সুযোগেই নরেন্দ্র মোদীকে ফের ‘দলিত-বিরোধী’ বলে আক্রমণ শুরু করলেন রাহুল গাঁধী।

তফসিলি জাতি-উপজাতিদের নিগ্রহ রুখতে ১৯৮৯ সালে আইন তৈরি করেছিলেন রাজীব। কিন্তু সেই আইনের অপব্যবহারের মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির পর শীর্ষ আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আগে অতিরিক্ত রক্ষাকবচের রায় দেয়। সরকারের মত শুনে বিচারপতি এ কে গোয়েল ও ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ বলে, মামলা দায়েরের আগে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে। অভিযুক্ত কোনও সরকারি অফিসার হলে তাঁকে গ্রেফতার করতে হলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। সরকারি কর্মী না-হলে জেলার এসএসপির অনুমতি প্রয়োজন। আগাম জামিনেও সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

রাহুল গাঁধী এখন কর্নাটকে। সেখান থেকেই টুইটে আক্রমণ করেন তিনি। দলের নেতাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণে নামতে। আহমেদ পটেল, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো কংগ্রেসের এক ঝাঁক নেতা আজ বলেন, রাজীব দলিত-আদিবাসীদের অধিকার দিয়েছিলেন। আজ তা কেড়ে নিলেন মোদী। শীর্ষ আদালত রায় দেওয়ার আগে সরকারের মত চেয়েছিল। সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে আইনটি লঘু করার কথা বলেন।

বিজেপি কেন বিপাকে পড়েছে? দলের নেতৃত্ব মানছেন, এ যাবত ৭৫ ভাগ মামলাই ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে করা মামলায় সিংহ ভাগই ছাড়া পেয়ে যান। ফলে অভিযুক্তদের রক্ষাকবচ জরুরি। কিন্তু সেটি প্রকাশ্যে বললে দলিতরা রুষ্ট হবেন। আর এর বিরোধিতা করলে চটবে উচ্চবর্ণেরা। তাই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও আজ জবাব এড়িয়েছেন। বলেছেন, ‘‘আগে রায়টি পড়তে হবে।’’ অথচ সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে গত কাল। রবিশঙ্কর শুধু বলেন, ‘‘কংগ্রেস দলিতদের ক্ষমতায়ন করেনি। এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’’

কংগ্রেস বলছে, সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতও সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রোহিত ভেমুলা থেকে উনার ঘটনায় স্পষ্ট বিজেপি ও সঙ্ঘ দলিত-বিরোধী। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সব আইনেই কম-বেশি অপব্যবহার হয়। কিন্তু আর কোথাও তো রক্ষাকবচ রাখা হয়নি! শুধু দলিতদের বেলায় কেন? অবিলম্বে আইনটি ফের সংশোধন করা হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE