—ফাইল চিত্র।
শুধু প্রান্তিক স্টেশন নয়, এ বার থেকে মাঝপথেও অনেকগুলি স্টেশনে দুরন্ত এক্সপ্রেসে যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন।
যাত্রীদের চাহিদা ও রেলের আয় বাড়ানো— এই দুই বিষয়কেই সামনে রেখে নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড। তবে নিয়ম কার্যকর হবে নতুন বছরের শুরু থেকে অর্থাত্ আগামী জানুয়ারি মাস থেকে।
রেল সূত্রে খবর, ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে আপাতত দুরন্তের যাত্রাপথে যে দু’টি বা তিনটি স্টেশনে রেলের নিজস্ব কাজকর্মের জন্য ট্রেনের (‘অপারেশনাল স্টপেজ’) দেওয়া হত, সেই স্টেশনগুলি থেকে বা সেই স্টেশন পর্যন্ত এ বার যাত্রীরাও টিকিট কেটে ওঠানামা করতে পারবেন।
২০০৭-এ নয়াদিল্লি থেকে জম্মু এবং নয়াদিল্লি থেকে লখনউ এই দু’টি ‘নন স্টপ’ (প্রান্তিক স্টেশন ছাড়া কোথাও থামবে না) ট্রেন চালু করা হয়েছিল উত্তর রেলে। ৫-৭ ঘণ্টার দূরত্বের ওই দুটি ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়ও উপচে পড়ে। তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হয়েই চালু করেন ওই ধরনের ‘নন স্টপ’ ট্রেন। যার নামকরণ করা হয় দুরন্ত এক্সপ্রেস। তবে দুরন্তের যাত্রাপথ অনেকটা বেশি হওয়ায় মাঝপথে দু’টি বা তিনটি স্টেশনে রেলের নিজস্ব কাজকর্মের জন্য ট্রেনটি থামানোর কথা বলা হয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওই সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবেন না।
কিন্তু, তখন থেকেই যাত্রীদের তরফেই বার বার আবেদন করা হচ্ছিল, যদি যাত্রাপথে ট্রেনটি থামাতেই হয়, তবে সেখান থেকেও ওঠানামা করার ব্যবস্থা করা হোক। প্রায় ১১ বছর ধরে ভাবনা চিন্তা চালানোর পরে এবার রেল কর্তারা যাত্রীদের আবদনেই সাড়া দিলেন।
সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে কেন চার মাস লাগবে ওই নিয়ম কার্যকর করতে?
রেলকর্তারা জানিয়েছেন, এখন ট্রেনে আসন সংরক্ষণ করা যায় চার মাস আগে থেকে। সুতরাং নোটিস দেওয়ার পরে যাত্রীরা নতুন বছরের (জানুযারি মাস) টিকিট পাবেন। ফলে দুরন্তে মাঝপথে ওঠানামা শুরু হবে চার মাস পরেই। রেল সূত্রের খবর, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল মিলিয়ে এখন এ রাজ্য থেকে মোট ৯ জোড়া দুরন্ত চলাচল করে। তার মধ্যে হাওড়া-দিঘা বাদ দিলে বাকি ৮ জোড়া দুরন্তেই মাঝপথ থেকে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy