স্কুলপড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বছর পনেরোর ছেলেটির বিরুদ্ধে। গ্রামের সালিশি সভা অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেয় তাকে। বেঁকে বসে কিশোর। জানায়, অটোরিকশা পণ পেলে তবেই বসবে ছাদনাতলায়। অনেক বোঝানোর পরও সে রাজি না হওয়ায় থানায় নালিশ ঠুকলেন মেয়েটির মা। মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড়ের ঘটনা। অভিযুক্ত পলাতক।
অভিযোগ, ৩১ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণ করে ছেলেটি। একটি ঘরে ৩ দিন ধরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সে ওই কিশোরীকে এক আত্মীয়ার বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে যায়। মা পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানালে ধরে আনা হয় কিশোরকে। সালিশি সভা সিদ্ধান্ত নেয়, মেয়েটিকে বিয়ে করে নিলে অভিযুক্তের কোনও সাজা হবে না। মেয়ের মা-ও তাতে রাজি ছিলেন। কিন্তু ওই কিশোর পণ হিসেবে অটোরিকশা দাবি করে। কিশোরীর পরিবার তাতে রাজি হয়নি। ছেলে ছিল অনড়। এর পরেই থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের অভিযোগ দেরিতে দায়ের হলে সহজে প্রমাণ মেনে না। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত অভিযুক্তকে শাস্তি না দিয়ে যে ভাবে দুই নাবালকের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তার নিন্দা করেছে রাজ্য মহিলা কমিশন। সরব শিশু সুরক্ষা কমিশনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy