ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর মামলায় খুন সংক্রান্ত ধারা যোগ না করে দিল্লির একটি নিম্ন আদালত মারাত্মক ভুল করেছে বলে জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। ওই আদালতকে খুনের ধারা যোগ করে ফের চার্জগঠন করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতকে ওই শুনানি শেষ করতে হবে।
পুলিশের অভিযোগ, নির্ভয়া কাণ্ডের মতো অত্যাচার হয়েছিল এই নির্যাতিতার সঙ্গেও। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রথমে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। তার পর ধর্ষণের প্রমাণ মেটাতে তাঁর যৌনাঙ্গে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেয়। চলে নানা অত্যাচার। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও ময়নাতদন্তে জানা যায়। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাশাপাশি খুনের অভিযোগও আনতে চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় দিল্লির একটি নিম্ন আদালত। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬এ (ধর্ষণের জেরে মৃত্যু)-সহ আরও বেশ কিছু জামিনঅযোগ্য ধারায় চার্জগঠন করা হয়। কিন্তু তার সঙ্গে খুনের ধারা (৩০২) জুড়তে রাজি হয়নি আদালত।
এর পরেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। নতুন চার্জগঠনের আর্জি নিয়ে তাদের নিম্ন আদালতে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। আগের রায়েই অনড় থাকে নিম্ন আদালত। ফলে আবার পুলিশ দিল্লি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিনোদ গয়ালের বেঞ্চে গত মঙ্গলবার এই মামলাটি ওঠে। শুনানির সময়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘এই মামলায় নিম্ন আদালত সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy