মাথুন্নি ম্যাথিউজ। ছবি: সংগৃহীত।
চলে গেলেন মাথুন্নি ম্যাথিউজ, বাস্তবের ‘এয়ারলিফ্ট’-এর আসল নায়ক। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। ২১ মে, কুয়েতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আগস্ট, ১৯৯০-এ কুয়েতে হামলা চালায় ইরাকের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের সেনা। হামলা চালানোর কিছুদিন আগেই কুয়েতকে ইরাকের উনিশতম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করেন সাদ্দাম। ইরাকি সেনার অতর্কিত হামলায় একেবারে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে কুয়েত। বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কুয়েতের। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত কুয়েতে আটকে পড়েন প্রায় ১,৭০,০০০ ভারতীয়। ১৯৯০-এর ১৩ আগস্ট থেকে ১১ অক্টোবর অবধি ইরাক ও কুয়েতের বিভিন্ন অংশ থেকে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয় প্রায় দেড় লাখ ভারতীয়কে। কোনও অসামরিক বিমান পরিষেবার মাধ্যমে এত বড় স্থানান্তরপর্বের নজির আর নেই। আর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন মাথুন্নি ম্যাথিউজ। তিনিই ছিলেন ইরাকের অধিনস্থ কুয়েতে ভারত সরকারের ‘আন-অফিশিয়াল’ (অঘোষিত) প্রতিনিধি।
১৯৫৬ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে কর্মসূত্রে কুয়েতে গিয়েছিলেন মাথুন্নি। চরম বিপদের সময় তিনিই হয়ে উঠেছিলেন কুয়েতে বসবাসকারী ভারতীয়দের প্রধান মুখ। ১৯৯০-এর সেই ঐতিহাসিক ‘লার্জেস্ট সিভিলিয়ান ইভ্যাকুয়েশন’ নিয়েই তৈরি হয় বলিউডের বিখ্যাত ছবি ‘এয়ারলিফ্ট’। যে ছবিতে মাথুন্নি ম্যাথিউজের ভূমিকায় দেখা যায় অক্ষয় কুমারকে। ছবিতে অবশ্য চরিত্রটির নাম বদলে ‘রঞ্জিত কটেয়াল’ হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: অরুন্ধতীকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট পরেশের, নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
বলিউডি ফিল্মের দৌলতে সে সময়ের সেই ঘটনাটি আম দেশবাসীর স্মরণে এলেও বরাবরই প্রচারের আড়ালেই থেকে গিয়েছিলেন মাথুন্নি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy